আইসোলেশন সেন্টার: আতংকে রোগীশূণ্য বেলাব হাসপাতাল
২৫ মার্চ ২০২০, ০৭:৩২ পিএম | আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:২৩ এএম

বেলাব প্রতিনিধি:
করোনাভাইরাস সন্দেহজনক রোগীদের জন্য বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনকে আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আর এই আতংকে রোগী শূণ্য হয়ে পড়েছে বেলাব উপজেলার একমাত্র চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বেলাব উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচরসহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা নিতে আসলেও এখন সেখানে রোগীশূণ্য। রোগীশূণ্যতার কারণে অলস সময় কাটাচ্ছেন হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
সরেজমিনে বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে নেই আগের মত রোগীদের ভীড়। বহির্বিভাগসহ নেই ভর্তিকৃত রোগীও। পুরুষ ওয়ার্ডে দুইজন রোগী ভর্তি থাকলেও, মহিলা ওয়ার্ড একেবারেই খালি। রোগী না থাকায় হাসপাতালে দেখা যায়নি চিকিৎসকদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১০ দিন আগেও এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিতেন। পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডের সবগুলো সিটেই থাকতো ভর্তি রোগী। সম্প্রতি এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করায় আতংকে কোন রোগীই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন না। এমনকি বহির্বিভাগেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন না রোগীরা।
হাসপাতালের তথ্যমতে, বুধবার (২৫ মার্চ) পেট ব্যথা নিয়ে ১ জন ও ডায়রিয়া নিয়ে ১ জনসহ মোট ২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। জরুরি বিভাগ থেকে সারাদিনে মোট ৭ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। এর আগে মঙ্গলবার ৮ জন রোগী জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। অথচ গত ১০/১৫ আগেও দৈনিক প্রায় দেড় হাজার রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিতেন এবং প্রতিটি ওয়ার্ডই রোগী ভর্তি থাকতো। বর্তমানে করোনা আতংকের কারণেই রোগী ভর্তির পরিমান শূণ্যের কোটায় নেমে গেছে।
চিকিৎসা নিতে আসা বেলাব উপজেলার বীরকান্দা গ্রামের মোবারক হোসেন বলেন, আমি শরীর ব্যথার জন্য বেলাব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছিলাম। যখন জানলাম এখানে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় তখন ভয়ে প্রাইভেট চেম্বারের ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন স্টাফ জানান, করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা করা হলেও ৫০টি বেড ছাড়া এখানে নেই অন্য কোন সরঞ্জাম। ৫০ শয্যার নতুন ভবনটিতে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন করোনা সন্দেহজনক কোন রোগী এখানে রাখা হয়নি। এরপরও মানুষ আতংকে এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন না। সুরক্ষা না থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরাও আতংকে রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্ম্দ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা আতংকের কারণেই রোগীরা ভর্তি হচ্ছে না ও চিকিৎসা নিতে আসছেনা। আইসোলেশন সেন্টার ঘোষণা হলেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা করানোর পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এখানে নেই। শুধুমাত্র ৫টি পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) প্রদান করা হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারে কর্তৃপক্ষের ১০০টি বেডের লক্ষ্য থাকলেও বেড সংকট থাকায় বর্তমানে ১৯টি বেড প্রস্তুত রাখা আছে। করোনা আতংক কেটে গেলে হাসপাতালে রোগীর পরিমান বাড়বে বলে আশাবাদী।
বিভাগ : নরসিংদীর খবর
- আলোকবালীর বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ফল উৎসব
- পলাশে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার
- মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়ল ৪০ দোকান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা
- আমিরগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
- নরসিংদীতে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান
- হাসনাবাদ বাজারে নকল কীটনাশক জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- জালিয়াতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার, ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার
- ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
- আলোকবালীর বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকার বহিষ্কার
- জেলা প্রশাসন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ফল উৎসব
- পলাশে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের পর যুবদল নেতা বহিষ্কার
- মাধবদী বাজারে আগুনে পুড়ল ৪০ দোকান
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা
- আমিরগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
- নরসিংদীতে জুলাই-আগস্টের শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠান
- হাসনাবাদ বাজারে নকল কীটনাশক জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- জালিয়াতি করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার, ৫২ লাখ টাকা উদ্ধার
- ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা