নরসিংদীতে ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

২০ জুলাই ২০২০, ০৫:৩৮ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০২:৪২ পিএম


নরসিংদীতে ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে কোরবানির ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশালায়। হাট বাজারের খুচরা দোকানীদের জন্য লোহার অস্ত্রপাতি তৈরির পাশাপাশি কোরবানীকে ঘিরে চাপ সামাল দিতে দিন-রাত কাজ করছেন তারা। লকডাউনে বন্ধের পর জমে থাকা কাজ ও ঈদের ক্রেতাদের চাহিদা মতো বাড়তি কাজের জন্য অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করতে হয়েছে কামারশালায়।

বিভিন্ন কামারশালা সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে লকডাউনে অন্যান্য দোকানপাটের মতো বন্ধ হয়ে যায় কামারশালাও। এতে জমা পড়ে যায় কিছু কাজ। এছাড়া আর বেশিদিন বাকি নেই ঈদ-উল আযহার। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে নরসিংদীর ছয়টি উপজেলার কামারশালাগুলোতে। একদিকে লকডাউনে আটকে পড়া কাজ, অন্যদিকে নিয়মিতভাবে খুচরা দোকানের জন্য লোহা-লক্কড়ের যন্ত্রপাতিসহ এখন সামাল দিতে হচ্ছে কোরবানির ক্রেতাদের চাপ। সারা বছরে টুকটাক কাজ থাকলেও ঈদ-উল আযহার এই সময়টায় ব্যস্ত সময় পার করতে হয় কামারদের। তাই দিন-রাত কাজ করে চলেছেন তারা।


ঈদকে ঘিরে ক্রেতাদের পছন্দের মতো তৈরি শুরু করেছেন বিভিন্ন মাপের পশু কোরবানির চাপাতি, দা, বটি, ছুরি, কুড়াল আর ছোট চাকুর মতো লোহার সব ধারালো অস্ত্র। এগুলো সবই ব্যবহার হবে কোরবানীর পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস ছাড়ানো আর হাড় কাটার কাজে। কেউ কেউ আবার গতবারের পুরাতন ছুরি ধার করিয়ে নিচ্ছেন নতুনভাবে কোরবানি করার জন্য।

নরসিংদী সদর উপজেলার দগরিয়া কামারশালার বিমল কর্মকার বলেন, সাধারণত ঈদ উল আযহার মাসখানেক আগে থেকেই পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামতের ভীড় শুরু হয়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এই ব্যস্ততা চলে।

একই এলাকার অপর কামারশালার তুষার কর্মকার নরসিংদী টাইমসকে বলেন, এ বছর লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়েছি। এতে কিছুটা কাজ জমা পড়েছে, এখন আবার ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে। তবে করোনার কারণে কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সজল কর্মকার বলেন, এ বছর করোনার কারণে দোকান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিলাম। তবে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে কয়েক মাস আগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ ও ১৮ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছি। এটাই আমাদের জীবনের প্রথমবার সরকারি অনুদান।