না ফেরার দেশে খাবার স্যালাইনের আবিষ্কারক ড. রফিকুল ইসলাম
০৬ মার্চ ২০১৮, ১০:৩৮ এএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম

কারো ডায়রিয়া হলেই আমরা পাশের ওষুধ বা মুদিখানার দোকানে খাবার স্যালাইন খুঁজি। ডায়রিয়া হলে এই স্যালাইন একমাত্র ভরসা। অথচ একটা সময় ছিল যখন এ রোগে প্রাণহানী ঠেকানোই কঠিন হতো।
যাদের অবদানে খাবার স্যালাইন আবিষ্কার হয়েছিলো, তাদের মধ্যে অন্যতম ড. রফিকুল ইসলাম। মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন এই বিজ্ঞানী। গতকাল সোমবার (০৫) মার্চ রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া বয়স সংক্রান্ত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র, দুই কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে তার সাবেক সহকর্মীরা।
ডায়রিয়ার হাত থেকে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয় খাবার স্যালাইনকে (ওআরএস)। সব ওষুধের দোকানেই স্বল্প মূল্যে খাবার স্যালাইন পাওয়া যায়। তবে হাতের কাছে এটি পাওয়া না গেলেও সবাই জানে এক মুঠো চিনি বা গুড় আর তিন আঙ্গুলের এক চিমটি লবণ আধা লিটার বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে ডায়রিয়ার প্রাণরক্ষাকারী দ্রবণটি তৈরি করা যায়। জনস্বাস্থ্যে খাবার স্যালাইনের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট একে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছিল।
বাংলাদেশের উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআর,বি এর সাবেক চিফ ফিজিশয়ান ড. রফিকুল ইসলাম ওআরএস এর উন্নতিকল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশে অতি পরিচিত ওরাল স্যালাইন তার হাত ধরেই পূর্ণতা লাভ করেছে।
১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রফিকুলের জন্ম। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন। ব্রিটেনে ট্রপিক্যাল মেডিসিন ও হাইজিন বিষয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন। আইসিডিডিআরবিতে তিনি ওষুধ নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালালেও তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ওআরএস।
আইসিডিডিআরবির সাবেক বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াহেদ জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরগুলোতে একবার কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল। তখন এর একমাত্র চিকিৎসা ছিলো শিরায় দেওয়া স্যালাইন (ইন্ট্রাভেনাস)। কিন্তু এ ধরনের স্যালাইনের সরবরাহ কম থাকায় খাবার স্যালাইন দিয়ে অনেকের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল।
এর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাবার স্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ডায়রিয়ার চিকিৎসায় স্যালাইনের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এ কারণে এটি ‘ঢাকা স্যালাইন’ নামেও পরিচিতি পেয়েছিল।
বিভাগ : নরসিংদীর খবর
- নরসিংদীতে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালাচ্ছিল ভুয়া পুলিশ
- মাধবদীতে দাফনের ৬ মাস পর সাবেক পৌর কাউন্সিলরের মরদেহ উত্তোলন
- রায়পুরায় দুই গ্রুপের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নিহত ১
- তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির জন্য ১৫০ চিকিৎসকের যৌথ বিবৃতি
- শিবপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ গেল মায়ের
- সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই : ড.আব্দুল মঈন খান
- শিবপুরে সুশিক্ষা ফাউন্ডেশন শিক্ষাবৃত্তি পেল ১৩৫ মেধাবী শিক্ষার্থী
- রায়পুরায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর
- পলাশ ও শিবপুরে পুকুরের পানিতে ভেসে উঠল দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ
- শিবপুরে গোসলে নেমে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- নরসিংদীতে সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালাচ্ছিল ভুয়া পুলিশ
- মাধবদীতে দাফনের ৬ মাস পর সাবেক পৌর কাউন্সিলরের মরদেহ উত্তোলন
- রায়পুরায় দুই গ্রুপের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নিহত ১
- তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধির জন্য ১৫০ চিকিৎসকের যৌথ বিবৃতি
- শিবপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ গেল মায়ের
- সংস্কারের ধোঁয়া দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘায়িত করার সুযোগ নেই : ড.আব্দুল মঈন খান
- শিবপুরে সুশিক্ষা ফাউন্ডেশন শিক্ষাবৃত্তি পেল ১৩৫ মেধাবী শিক্ষার্থী
- রায়পুরায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর
- পলাশ ও শিবপুরে পুকুরের পানিতে ভেসে উঠল দুই স্কুলছাত্রের মরদেহ
- শিবপুরে গোসলে নেমে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
এই বিভাগের আরও