সাংবাদিকের পরিবারকে অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ

২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:১৮ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭ এএম


সাংবাদিকের পরিবারকে অপহরণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ

পলাশ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশে প্রেমিকের হাত ধরে স্কুলছাত্রী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছাত্রীর বাবা কর্তৃক প্রেমিকসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে পরপর দু’টি অপহরণের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রেমিকের অপরাধের দায়ে তার পরিবারকে হয়রানির প্রতিকার চেয়েছেন সাংবাদিক পরিবার। ওই সাংবাদিক নূরে আলম রনি দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি ও পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মহিষালবাড়ি গ্রামের শামসুল আলমের মেয়ে ও ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সিরাজুম মনিরা জান্নাতি। জান্নাতির সাথে পলাশ উপজেলার নতুন বাজার এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে ও সাংবাদিক রনির ছোট ভাই নুরন্নবী সানির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের টানে ওই স্কুল ছাত্রী গোপনে গত ২৭ আগষ্ট নুরন্নবী সানির সাথে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর দিন ২৮ আগস্ট ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা পলাশ থানায় নুরন্নবী সানির বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। অপহরণের মামলার বিষয়টি জানতে পেরে ওই স্কুলছাত্রী স্বেচ্ছায় থানায় উপস্থিত হয়ে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সিরাজুম মনিরা জান্নাতি উল্লেখ করে, তার পারিবার তাকে দীর্ঘদিন ধরে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সে বাধ্য হয়ে তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। মামলায় স্কুলছাত্রীর বাবা তার মেয়েকে নাবালিকা উল্লেখ করায় আদালত জান্নাতিকে তার বাবার জিম্মায় দেয়।


এদিকে বাবার জিম্মায় থাকার কিছুদিন পর পুণরায় জান্নাতি তার প্রেমিক সানিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা শামসুল আলম হবিগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজ কর্মস্থলে থেকে মাধবপুর থানায় নুরন্নবী সানি, তার বড় ভাই সাংবাদিক নূরে-আলম রনি ও তার বাবা জাকির হোসেনের নামে অপহরণের মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে অসুস্থ বাবাসহ ওই সাংবাদিক পরিবারকে।

মামলার দ্বিতীয় অভিযুক্ত (আসামি) দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি ও পলাশ উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নূরে-আলম রনি বলেন, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে অপহরণের সাজানো মামলা দিয়ে আমাদের পুরো পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে। আমার বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ অবস্থ’ায় আছেন। হয়রানি করতে অসুস্থ বাবাকেও আসামি করা হয়েছে। অপরাধী হলে আমার ভাই হতে পারে বাবাসহ আমরাতো কোন অপরাধ করিনি। সে (পলাতক ভাই) কোথায় আছে সেটাও আমরা জানি না।
প্রথম অপহরণের মামলায় আমাদের পরিবারের কাউকে আসামি করা হয়নি। অথচ ২য় মামলাটিতে আগের মামলা গোপন করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের নাম জড়িত করা হয়েছে। পুলিশ রাত-বিরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করছে।


এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ গোলাম দস্তগীর এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী আগের মামলাটি সম্পর্কে জানাননি। যেহেতু নতুন করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে-সেক্ষেত্রে ভিকটিম উদ্ধারের পর বিষয়টি ক্লিয়ার হওয়া যাবে।



এই বিভাগের আরও