ইরানের নতুন সাবমেরিন উদ্বোধন

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০১:২৩ পিএম


ইরানের নতুন সাবমেরিন উদ্বোধন

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন উদ্বোধন করলো ইরান। দেশটির তরফে জানানো হয়, সম্প্রতি নির্মিত ‘ফাতেহ’ নামের এই সাবমেরিনটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও তা নিক্ষেপ করতে পারবে।

গত রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির নেতৃত্বে উত্তরের বন্দর শহরের ‘আব্বাস বন্দরে’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয়। এসময় রুহানি বলেন, ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান এখন স্থল, আকাশ এবং পানিপথে আত্মনির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, এসব আত্মরক্ষামূলক শক্তি অন্য কোনো দেশে আক্রমণের জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই ব্যবহার করবো। এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘ফাতেহ’ মাঝামাঝি শক্তিশালী একটি সাবমেরিন। এটি দেশটির কম শক্তিশালী সাবমেরিন ‘ঘাদির’ এবং অধিকতর শক্তিশালী সাবমেরিন ‘কিলো’র মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।

প্রায় ছয়শ’ টন ওজনের ওই সাবমেরিনকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি টর্পেডো এবং নৌ-মাইনের মতো সমরাস্ত্রেও শক্তিশালী করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সাবমেরিনটি ৩৫ দিন ধরে সচল থেকে সমুদ্রের প্রায় দুইশ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারবে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন আরেকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উম্মোচন করে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে যেতে সক্ষম। এরোস্পেস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরালি হাজিজাদেহ বলেছেন, ‘দেজফুল’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পুরানো ক্ষেপণাস্ত্র ‘জোলফাগর’- যেটি সাতশ কিলোমিটার দূরে যেতে পারতো, তারই নতুন সংযোজন। প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, শত্রু পক্ষের দেয়া চাপ এবং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞাই আমাদের আত্মরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি বলেনে, আমাদের যেসব সমরাস্ত্র প্রয়োজন, সেসব অন্যদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেতাম তাহলে হয়তো সেগুলো আর নিজেরা তৈরি করতে পরতাম না।

অনুষ্ঠানে ইরানের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালে করা পারমাণবিক চুক্তি প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

 


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও