সমাজে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

০৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৩২ পিএম | আপডেট: ০২ মে ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম


সমাজে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমাজে নারীদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার আইনে গ্রাম থেকে অর্থাৎ তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্বের সুযোগ রাখা হয়েছে। নারীরা যেন শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের প্রতিটি ক্ষেত্রে সমানভাবে সুযোগ পায়, সেটা আমরা নিশ্চিত করে দিয়েছি। এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় সরকার প্রধান বলেন, আমরা চাই তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীরা নেতৃত্বে থাকুন। কেননা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সমানভাবে কাজ করতে হবে। নারী নেতৃত্বের বিকাশে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্থানীয় সরকার আইনে সুনির্দিষ্টভাবে মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। একেবারে গ্রাম থেকে অর্থাৎ তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব যেন গড়ে ওঠে, আমরা সেই সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা কর্মজীবী নারী হোস্টেল করে দিয়েছি। এটা শুধু ঢাকাতে না, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মজীবী নারী হোস্টেল করে দেবো, যেন নারীরা কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষিত থাকেন।

তিনি শীর্ষ পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্বে থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, নারী নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সংসদে একটা ইউনিক অবস্থা। স্পিকার নারী, সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা সবাই নারী। দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থাটা চলছে। বিশ্বব্যাপী এটা একটা খুব সমাদৃত হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন বিশ্বব্যাপী একটা সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে আমরা হেল্প লাইন ১০৯ ও ৯৯৯ চালু করেছি। ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যায়। এভাবে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার পদক্ষেপ নিচ্ছি, যাতে সমাজে নারীরা নির্যাতিত না হন। নারীদের জন্য অনস্টপ সার্ভিস চালু করেছি। যখন আমাদের মেয়েরা নির্যাতনের শিকার হন, তখন যারা নির্যাতন করেছে তাদের খুঁজে বের করাও প্রয়োজন। আমরা ইতোমধ্যে ডিএনএ ল্যাবরেটরির ব্যবস্থা করেছি। ডিএনএ ল্যাবরেটরির মাধ্যমে যেকোনও অপরাধ হলে সেটাকে পরীক্ষা করে অপরাধীদের চিহ্নিত বা শনাক্ত করা সহজ হবে।

কর্মক্ষেত্রে সব জায়গায় নারীদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেয়েরা এখন রেলগাড়িও চালাচ্ছে, আবার গাড়িও চালাচ্ছে। এয়ারফোর্সে মেয়েরা ভালো করছে, সবখানে তারা ভালো করছে। নারীরা যাতে পেশাগত জায়গায় ভালো করতে পারেন, নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করতে পারেন, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সরকার উন্নয়নের প্রায় সব ক্ষেত্রে নারীকে সম্পৃক্ত করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত পাঁচ নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়া বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

এবছর বেগম রোকেয়া পদক পাওয়া পাঁচ নারী হলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, কর্নেল ডা. নাজমা বেগম, উদ্যোক্তা মঞ্জুলিকা চাকমা, নারীনেত্রী বেগম মুশতারী শফী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার।


বিভাগ : বাংলাদেশ