আমাদের এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা: প্রধানমন্ত্রী

১৭ মার্চ ২০২১, ০৭:৫২ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৮ এএম


আমাদের এখন শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা: প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সুযোগ নেই। এখন শুধু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাল্লাহ্। এটাই আজকের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা। বুধবার (১৭ মার্চ) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন যে অবস্থানে পৌঁছেছে, সেখান থেকে তাকে সহজে অবনমন করা বা নামানো যাবে না। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ, আমরা এই করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। তবে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালের এই দিনে বাংলাদেশের এক নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিল এক শিশু, পিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মাতা সাহারা খাতুনের কোলে। টুঙ্গিপাড়া গ্রামকে আলোকিত করে যে শিশু এ ধরিত্রীতে আগমন করেছিল সেই শিশুই আলো জ্বালিয়েছিল বাঙালি নামের এক জনগোষ্ঠীর জীবনে। এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ১৭ মার্চ আমরা প্রতিবছর জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপন করি। শিশু দিবসে প্রতিটি শিশুর জন্য আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণ হচ্ছে। আমরা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একযোগে উদযাপন করছি।

এ সময় তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ও ফার্স্ট লেডি ফাজনা আহমেদকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ভ্রাতৃপ্রতিম মালদ্বীপের জনগণের প্রতিও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ ছাড়াও অনেক দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিশিষ্টজনেরা যেসব বার্তা পাঠিয়েছেন প্রতিদিনের অনুষ্ঠানমালায় একে একে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিকালে ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। এরপর মুজিব শতবর্ষের থিম সং উপস্থাপনা করা হয়। এটি লিখেছেন কবি কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও সূর করেছেন নকিব খান। পরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকর্ষণীয় ফ্লাইফাস্টের রেকর্ড ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। দেশের শিল্পীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও জাতির পিতা শেখ মুজিবকে নিয়ে গান আর মনোজ্ঞ উপস্থাপনা মুগ্ধ করে সবাইকে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপির সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইউশিহিদে সুগা ও বিখ্যাত সাংবাদিক মার্ক টালি প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ফাজনা আহমেদ, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদ, বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ও বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও