ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদারের জন্য পৃথক ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব

০৩ অক্টোবর ২০২০, ০৯:২৫ পিএম | আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৫৬ এএম


ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদারের জন্য পৃথক ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শুধু চাকরির আগেই নয়, চাকরিতে যোগ দেয়ার পরও করা হবে ডোপ টেস্ট। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর আদলে একটি পৃথক ইনস্টিটিউট গঠনের চিন্তা করছে সরকার। এটি বাস্তবায়ন হলে চাকরি করতে পারবেন না মাদকাসক্তরা। গত ২৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ ইনস্টিটিউট গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ওই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সরকারি চাকরি ছাড়াও বেসরকারি চাকরি, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলে ভর্তি প্রত্যাশীদেরও ডোপ টেস্ট করানো হবে। সন্দেহভাজন যে কাউকেই ডোপ টেস্ট করিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে এ ইনস্টিটিউট।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও এমপি শামসুল হক টুকু বলেন, মাদক নির্মূলে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিএসটিআইয়ের আদলে একটি ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। মাদক শনাক্তের ভয় থাকলে সবাই মাদক থেকে দূরে থাকবে। তাই বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদারের জন্য এ প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, ‘মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ ডোপ টেস্ট প্রবর্তন (প্রথম) পর্যায়’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় করা হবে ৬২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, যশোর, কুমিল্লা, রাঙামাটি, নোয়াখালী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, দিনাজপুর ও রংপুর- এই ১৯ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মূলত ডোপ টেস্ট কার্যক্রম জোরদার করতেই এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের পর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও