হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড
২৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১১ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৭ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার আট আসামির মধ্যে মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশিদ ও শরিফুল ইসলাম।
গত ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন। ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আদালত মামলাটির চার্জগঠন করেন। চার্জগঠন হওয়ার পরে মোট ৫২ কার্যদিবসে যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়। মামলার মোট ২১১ সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ মামলার বাদী এসআই রিপন কুমার দাসের মধ্য দিয়ে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। প্রায় এক বছর পর গত ২৭ অক্টোবর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। গত ৩০ অক্টোবর আত্মপক্ষ শুনানিতে ৮ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
২০১৮ সালের ১ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলার চার্জশিট ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে দাখিল করেন। এরপর ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত এ মামলা ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। চার্জশিটে ২১ আসামির নাম থাকলেও তাদের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মারা যান। এই ১৩ জনকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয় চার্জশিটে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ইতালির ৯ জন, জাপানের ৭ জন, ভারতীয় একজন ও বাংলাদেশি ২ জন নাগরিক নিহত হন। রাতভর সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্ড এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে। পরে সেখান থেকে পাঁচ জঙ্গির সঙ্গে রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার হয়। আর সাইফুলের সহকারী জাকির হোসেন শাওন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
একই ঘটনায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের গ্রেনেডের আঘাতে রেস্তোরাঁর বাইরে মারা যান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান। পাঁচ জঙ্গিসহ শেফ সাইফুল ইসলাম ও সহকারী শেফ শাওনের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে দীর্ঘদিন পরে থাকার পর বেওয়ারিশ ঘোষণা করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- মাধবদীতে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত-৩
- ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৬
- নরসিংদীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন
- নরসিংদীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়া ও মনজুর এলাহীর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- মাধবদীতে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ইজিবাইকের চালকসহ নিহত-৩
- ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন, দগ্ধ ৬
- নরসিংদীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন
- নরসিংদীর প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ খেলার উপযোগী করার নির্দেশ
- শিবপুরে বেগম খালেদা জিয়া ও মনজুর এলাহীর রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন