জামান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১

১৪ জুন ২০২০, ১১:৫৩ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ এএম


জামান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার নাগেরচর এলাকার মো. জামান (৪৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য আড়াইমাস পর উদঘাটন করেছে র‍্যাব-১১ এর সদস্যরা। একটি অটোরিকশা নিয়ে বিরোধের জের ধরে জামানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মো. সাইফুল ইসলামসহ (৩২) দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত আসামিরা র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামান হত্যার লোমহষর্ক বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় র‍্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল ইমরান উল্লাহ সরকারের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক জানান, গত ২৯ মার্চ মো. জামান (৪৫) নিখোঁজ হয়। এর তিনদিন পর ৩১ মার্চ সকালে আড়াইহাজারের মাওরাদী এলাকায় হাত-পা বাঁধা ও দুই চোখ উপড়ে ফেলা অবস্থায় জামানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জামানের ছোট ভাই মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জামান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‍্যাব প্রথমে শনিবার অভিযান চালিয়ে সাইফুলকে গ্রেফতার করে। পরে সাইফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, এ নৃসংশ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে সে জড়িত এবং তার পরিকল্পনায় ও কয়েকজন সহযোগীর পরস্পর যোগসাজসে জামানকে হত্যা করা হয়েছে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত অপর এক সহযোগী আসামি মো. বাদশাকে (৩০) শনিবার রাতেই উপজেলার বগাদি বাজার হতে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব জানায়, নিহত জামান পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। গ্রেফতারকৃত মো. সাইফুল ইসলাম ও বাদশার সঙ্গে নিহত জামানের অটোরিকশা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তাছাড়া ঘটনার এক মাস পূর্বে পাওনা টাকা নিয়ে নিহত জামানের ভাই জাকির হোসেন সাইফুলকে রাস্তায় অপদস্থ করে। এর জের ধরে প্রতিশোধ নিতেই সাইফুল ইসলাম, আক্তার ও বাদশাহকে নিয়ে জামানকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার দিন জামানকে সাথে নিয়েই সাইফুল, আক্তার ও বাদশাহ একসাথে বাজারে যায় এবং সাইফুল বাজারে গিয়ে আক্তারকে গামছা কিনার জন্য ৪৫ টাকা দেয়। আক্তার গামছা কিনে নিয়ে আসার পর তারা তিনজন জামানকে সাথে নিয়ে নাগেরচর চৌরাস্তায় চা খায়। চা খাওয়ার পর তারা সবাই চৌরাস্তা ব্রিজের কাছে যায়। সেখানে নিয়ে তারা জামানের মুখে ও গলায় পেঁচিয়ে ছুরি দিয়ে গলায় খুচিয়ে খুচিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।পরে তারা জামানের মৃতদেহ পাশের কলাবাগানের ভেতরে ফেলে চলে যায়।


বিভাগ : বাংলাদেশ