শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই পদ্মা সেতু দৃশ্যমান: এলজিআরডি মন্ত্রী

১০ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:২৩ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম


শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই পদ্মা সেতু দৃশ্যমান: এলজিআরডি মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশে আর্থিক সক্ষমতা এবং একজন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই তাঁর নেতৃত্বে বহু অর্জনের সাথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ পুরো দৃশ্যমান হয়েছে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রস্তাবে সে সময় অনেকেই উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন ছাড়া নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। পদ্মা সেতু না হওয়া নিয়ে অনেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র এবং বাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামো এখন দৃশ্যমান। দেশের আর্থিক সক্ষমতা আছে বলেই এত বড় কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, দেশে একসময় অনেক মানুষ ক্ষুধা-দরিদ্র্যতায় জর্জরিত ছিলো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে ক্ষুধামুক্ত করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইটি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বহু শিল্প কল-কারখানা প্রতিষ্ঠাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভঙ্গুর করে দিলেও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা এবং সঠিক নেতৃত্বের কারণে অর্থনীতিসহ নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং রুপকল্প ২০৪১ এর পথ নকশা অনুযায়ী দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট কার্যকরভাবে মোকাবেলা এবং অর্থনীতির উপর ক্ষতিকর প্রভাব দূর করে সমৃদ্ধির ধারা ফিরিয়ে আনতে শেখ হাসিনা প্রায় এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার বাস্তবায়ন এখনো চলছে।

মন্ত্রী বলেন, এসকল প্রণোদনা সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলে রপ্তানি, বেসরকারি ঋণপ্রবাহ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইত্যাদি বৃদ্ধিসহ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিম্নমুখী রাখা সম্ভব হয়েছে।

উন্নয়ন কর্মকান্ড এখন আর শুধু শহর কেন্দ্রীক নেই, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম জানান জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারীসহ দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে সকল বাধা অতিক্রম করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার মূল প্রবন্ধ (সামাজিক সুরক্ষার আওতা সম্প্রসারণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ) উপস্থাপন করেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ