সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
২০ মার্চ ২০২১, ০৬:১৮ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২০ মার্চ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী। রাজনৈতিক জীবনে নিজ জন্মস্থান ভৈরবকে তিনি করেছেন গৌরবউজ্জ্বল। রেখে গেছেন অসংখ্য স্মৃতি। তার মৃত্যুতে ভৈরববাসি অভিভাকবহীন হয়ে পড়েছে। হয়তো তিনি বেচেঁ থাকলে তার জন্মভূমি ভৈরব আরো উন্নত হতো। এই কারণে হয়ত তার এ মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না ভৈরববাসি। ছোট পরিসরে নানা আয়োজনে শোক আর শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করছেন তারা।
২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর ৮০ বছর বয়সেও তিনি দাপটের সাথে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন। তিনি রাজনীতির তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ পদে আসিন হন। তিনি জীবনের বেশীর ভাগ সময় রাজনীতিতেই ব্যায় করেছেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান ভৈরবপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের মার্চ মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মেহের আলী আইনজীবি ছিলেন। বাবার চাকুরীর সুবাদে তিনি ময়মনসিংহের মৃত্যুঞ্জয়ী বিদ্যা নিকেতন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে ভৈরব কেবি পাইলট স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৯৬ সালের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, সংসদ উপনেতাসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনতার পর ভৈরব কুলিয়ারচর থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে জন্মস্থান ভৈরবে অসংখ্য স্মৃতি রেখে গেছেন। তিনি রেখে গেছেন নিজ বাসভবন আইভি ভবনটি। ঐ ভবনটি এখন তালাবদ্ধ হয়ে স্মৃতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। ভবনটির ভিতরেও রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি। তিনি যে স্মৃতি রেখে গেছেন তা আজও ভুলার মত নয়।
এদিকে ভৈরববাসী প্রিয় নেতা জিল্লুর রহমানকে হারিয়ে খুব বিষান্নিত। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার মত নয় বলে মনে করেন এই অঞ্চলের লোকজন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার কয়েক মাস পর ১৩ জুলাই ভৈরবের মাটিতে পা রেখে এবং ভৈরবের মানুষের সাথে তিনি সুর মিলিয়ে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ৭ বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তবে একটি প্রজ্ঞাপনে ভৈরবকে প্রস্তাবিত জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জিল্লুর রহমান তার দায়িত্ব পালন অবস্থায় ২০১৩ সালে ১০ মার্চ অসুস্থ হয়ে পড়লে মূমুর্ষ অবস্থায় তাকে সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ মার্চ ২০১৩ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার মত নয় বলে জানিয়েছেন ভৈরববাসী।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করে ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৯ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা