জিয়ার মদদে ঘটে ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
১৫ আগস্ট ২০২১, ০৪:৪২ পিএম | আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন জিয়াউর রহমান। তার নির্দেশে ঘটানো হয় ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।
আজ রোববার রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্যাতন, অন্যায়-অবিচার, শোষণ, প্রতিহিংসা ও ধ্বংসাত্মকের রাজনীতি করে। পক্ষান্তরে আওয়ামীলীগ ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার আদায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি করে। এখানেই দুটি রাজনৈতিক দলের পার্থক্য। বিএনপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে দলটি আজ ধূলিসাৎ হওয়ার পথে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুকে শহীদ করার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন তারা দীর্ঘ ২১ বছর দেশ ও মানুষকে কি দিয়েছে জাতি তা জানে। বাঙালি জাতির ভাগ্যকে নির্বাসন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি বঙ্গবন্ধুর খুনি জিয়াউর রহমান এবং তাদের দোসররা।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, যুদ্ধের পর রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট, ব্যাংক বীমা, শিল্প কারখানা সব ধ্বংস হয়েছিল। সদ্য স্বাধীন ধ্বংসস্তূপ দেশকে জাতির পিতা সোনার বাংলায় রুপান্তরিত করার কাজ শুরু করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেন। অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে সক্ষম হন বঙ্গবন্ধু।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা পাকিস্তানিদের দোসর, রাজকার, আলবদর-আলশামস বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো অথচ জাতির পিতাকে হত্যার পর কি যোগ্যতার কারণে তাদেরকে উচ্চ পদে আসীন করে সম্মানিত করেছে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এসব দেখে মুজিব আদর্শের অনুসারীদের কি বুকে রক্তক্ষরণ হয়নি?
জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা দেশে ফিরে ক্ষতবিক্ষত দলকে পুনঃগঠন করে দেশ ও মানুষের সেবায় ব্রত হয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং তাঁর নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময়।
দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে এবং শেখ হাসিনার পথ নকশা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শে পরিচালিত বাংলাদেশ এখন আর কারো মুখাপেক্ষীর দেশ নয়, এ দেশ ফকির মিসকিনের দেশ নয়, এ দেশ ঘুরে দাঁড়ানো এক বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই স্বাধীনতা লাভ করার পর পাকিস্তান বলেছিল তারা অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করেছে। অথচ এখন তারা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে হিংসা করে। কারণ উন্নয়নের সকল সূচকে পাকিস্তান আমাদের দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে, জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের আন্দোলন-সংগ্রাম, দেশ স্বাধীন করার পিছনে তাঁর নেতৃত্ব ও অবদানকে অস্বীকার, আদর্শ ও চেতনাকে বিনষ্ট করতে এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতি করার অপচেষ্টা করেছে বিএনপি। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস থেকে বঞ্চিত করতে ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয় তারা। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শাহাদাত বার্ষিকীতে তার আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ ও মানুষের সেবায় নিয়োজিত রাখতে সাধারণ মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত দুস্থ্যদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধু ফটো গ্যালারী উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। এসময়, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ১৫ই আগস্টে শহীদসহ সকল শহীদদের স্মরণে দোয়া করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীষর্ক আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এলজিইডি ও ডিপিএইচই'র প্রধান প্রকৌশলী, এনআইএলজি’র মহাপরিচালক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা
- ১ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি সামসুদ্দীন আহমেদ এছাকের ৮৫তম জন্মদিন
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- সমুদ্রে আমাদের সম্পদ এখনো অজানা :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- শিবপুরে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে ছাত্র-শিক্ষক আহত
- সাংবাদিক নির্যাতনের মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন কারাগারে
- বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীতে আলোচনা সভা ও র্যালী
- কৃষিতে অতিরিক্ত বালাইনাশক ব্যবহারের ফলে হাওরের মৎস্য সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন
- বর্মন পরিবারের মিলনমেলায় গুণীজন সংবর্ধনা ও নতুন কমিটি ঘোষণা
- ১ সেপ্টেম্বর সাবেক এমপি সামসুদ্দীন আহমেদ এছাকের ৮৫তম জন্মদিন