বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

১৩ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৪ এএম


বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

টাইমস অর্থনীতি ডেস্ক:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে একাধিকবার সারের মূল্য হ্রাস করেছে। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন খরচ যেমন অনেকাংশে কমে যায়, একই সাথে ফসলের নিবিড়তা ৫-২২ ভাগ বেড়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি, ভাইঘর গ্রামে সিনক্রোনাইজড ফার্মিং এর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রমঃ -২০১৯ -২০২০ এর ‘কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী মেশিনের সাহায্যে ধান রোপন উদ্বোধন করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে দেশবাসি কোন ভুল করেনি, আপনাদের ভালেবাসার প্রতিদান সামাজিক অর্থনৈতিক বিদ্যুৎ সব খাতেই উন্নতি করেছে। বাংলাদেশকে একটি শান্তির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এছাড়া বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে অঞ্চল ভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত প্রণোদনা দিয়ে থাকে কৃষকবন্ধু দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে দানা শস্যের উৎপাদন আরও বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। উন্নত কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রযুক্তি প্রয়োগে শস্য উৎপাদনের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রাপ্ত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ফসল কর্তনোত্তর ক্ষতি কমানোর মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। যান্ত্রিকীকরণের বহুবিধ সুবিধাদির ফলে কৃষক দিন দিন কৃষিযন্ত্রের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে একটা ফসল থেকে আর একটা ফসল লাগানোর মধ্যবর্তী সময় কমে যাওয়ায় কৃষকরা বছরে এখন ২টা ফসলের স্থানে ৩টা ফসল অনায়াসেই করতে পারছে। এমনকি সুনির্দিষ্ট শস্য বিন্যাস ও স্বল্প জীবনকালের ফসল নির্বাচন করে যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বছরে ৪টি ফসল পর্যন্ত করা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষিগবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মুঈদ। আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলার চেয়াম্যানবৃন্দ, পৌর মেয়রবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ এর নেতৃবৃন্দ।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও