বেলাবতে বাড়ি ও কবরস্থানের উপর দিয়ে সড়ক প্রশস্থকরণের পায়তারা

০২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ এএম


বেলাবতে বাড়ি ও কবরস্থানের উপর দিয়ে সড়ক প্রশস্থকরণের পায়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর বেলাবতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও জোরপূর্বক একটি বাড়ি ও কবরস্থানের ওপর দিয়ে সড়ক প্রশস্থকরণের পায়তারার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ ও আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মহসীন।

অভিযোগকৃত রাস্তার কাজ শুরু করার প্রায় ৬ মাস আগে ভুক্তভোগী বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশসহ একটি আবেদনপত্র উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এর কাছে জমা দেন। কিন্তু তিনি ওই আবেদনকে পাত্তা না দিয়ে নিজের ইচ্ছা মাফিক রাস্তা প্রশস্থকরণের কাজ শুরু করেন।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মহসীন বেলাব সদর ইউনিয়নের চর বেলাব গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চরবেলাব থেকে দুলালকান্দি বাজার পর্যন্ত সড়কটির প্রশস্থকরণের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। উপজেলা প্রকৌশল অফিস নিয়ম না মেনে বাড়ি ও কবরস্থানের ওপর দিয়ে এই সড়ক প্রশস্থকরণের কাজ করার পায়তারা করছেন। সড়কটি প্রশস্থকরণের জন্য উভয় পাশে মোহাম্মদ মহসীনের জায়গা থাকলেও তা গ্রহণ না করে একপাশ দিয়ে জোরপূর্বক  বাড়ি ও কবরস্থানের ওপর দিয়ে প্রশস্থ করার পায়তারা করা হচ্ছে। এই সড়ক নির্মাণে ২৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৪ ফুট প্রস্থের অংশ তাদের বাড়ি ও কবরস্থানের ওপর দিয়ে গেলে তার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রকৌশল অফিস ক্ষতিপূরণ না দিলেও মহসীনের বাড়ি ও কবরস্থান ক্ষতিগ্রস্ত না করে তারই মালিকানাধীন বাড়ির অপর পাশের জমির ওপর দিয়ে সড়কটি প্রশস্থকরণের দাবি ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মহসীনের।

 

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ মহসীন বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অফিসের ইচ্ছামাফিক সড়ক প্রশস্থকরণ হলে পারিবারিক কবরস্থান বিলীন ও আমার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইতোমধ্যেই বাড়ির ১৩০ ফুট বাউন্ডারি দেয়াল হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ রাস্তার উভয় পাশে আমার জমি রয়েছে। দক্ষিণ পাশ দিয়ে ৫ ফুট জায়গা রেখে সড়কটি প্রশস্থ করণের কাজ করা হলে আমাদের কবরস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং সড়কটিও সোজা হবে। কিন্তু তা না করে কেন আমার বাড়ি ও কবরস্থান ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি আদালতে একটি মামলাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে অভিযোগ করেছি। বর্তমানে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কিছু অসাধু লোক দিয়ে আমাকে জোরপূর্বক বাধ্য করার চেষ্টা ও বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সামসুল হক ভূইয়া বলেন, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশির সাথে জমিসংক্রান্ত বিষয়ে দ্বন্দ্ব। দ্বন্দ্বের জেরে এই সড়কের ঠিকাদারের সাথেও বেশ কয়েকবার জমির মালিকদের কথা কাটাকাটি হয়েছে। এই বিশৃঙ্খল অবস্থার জন্য আপাতত কাজটি স্থগিত রেখেছি। জমির মালিকদের দ্বন্দ্বের সমাধান হলে সড়কের কাজ আবারও শুরু হবে।