নরসিংদীর মাধবদীতে ‘মিথ্যা মামলা’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম


নরসিংদীর মাধবদীতে ‘মিথ্যা মামলা’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে এবং পরবর্তীতে একাধিক মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ এনে লেডি বাইকার সুবর্ণা নাহার সাথীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর পরিবার। সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে মাধবদী থানা প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শরিফুল ইসলাম সানী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সানীর বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা শামিমুল হক সেলিম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, জনৈক সুবর্ণা নাহার সাথী প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন করে শরিফুুল ইসলাম সানীকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে নানা সময়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার দাবীর প্রেক্ষিতে সানির পরিবারের সাথে কলহ শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও গণধর্ষণের অভিযোগ এনে মাধবদী থানায় দুটি মামলা করেন সাথী। তিনি আরো বলেন, সাথী মূলত একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। চক্রটির সহযোগিতায় এর আগে ঢাকার আরেক যুবককে বিয়ে ও পরবর্তীতে ঐ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুবর্ণা নাহার সাথী।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, প্রায় বছর খানেক আগে ব্যবসায়ি কাজে তিনশ ফিট রাস্তা হয়ে ঢাকা আসা যাওয়ার পথে সাথীর সাথে পরিচয় হয় সানীর। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক নিবির হয়। একই বছরের আগস্ট মাসের ২৫ তারিখে ঢাকার ভাটারায় একটি কাজী অফিসে পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে সানীকে বিয়ে করতে বাধ্য করে সাথী। শুরুতেই সানীর পরিবার অমত করলেও তা মেনে নেয়া হয়। সব কিছু মেনে ছেলের বৌকে বাড়ীতে তুলার দুই সপ্তাহের মাথাই সাথীর আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ হতে থাকে। তাদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা স্বর্ণালঙ্কার আদায়ে জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সাথী। একপর্যায় তা চরম আকারে ধারন করলে তাদের পরিবারের চার জনের বিরুদ্ধে প্রধম মামলাটি করেন সাথী। এর কিছু দিনপর তাদের দুইভাইসহ প্রতিবেশি আরো দুই জরিয়ে একটি গণধর্ষণ মামলা করে সাথী। এছাড়া, সানির সাথে বিয়ে হয়েছে তার কাবিনামায় সাথী নিজেকে কুমারী দাবী করলেও সম্প্রতি রাজধানীতে এক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সেলস্ ম্যানাজার মহিবুল ইসলাম শাওন নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করেন সুর্বণা নাহার সাথী। বিয়ের পর মোহাম্মদপুরে বসবাস করার কয়েক মাস পর বেসরকারী টেলিভিশন এটিএন বাংলার এক প্রতিবেদনে চলে আসে এই সুন্দরী নারীর আসল কাহিনী। প্রতিবেদনে বলা হয়, যশোর থেকে এস এস সি পাশ করে চাকরী খোজার জন্য ঢাকায় আসেন সুবর্ণা নাহার সাথী পরে তার মাঝে একটি শপিং মলে পরিচয় হয় শাওনের সাথে। তার মোবাইল নাম্বারে কয়েক দিন কথা বলার পর হঠাৎ ১০ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে বিয়ে করেন দুজনে। কিন্তু ভোক্তভোগি শাওন ওই প্রতিবেদনে বলেন, এ নারী তাকে প্রতরণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন, তাঁর কথা ও কাজের সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি। সাথী তার চক্রের মাধ্যমে কাবিনের টাকা দাবী করেন। তার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনের আরো বলা হয়, সাথীর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া ছিল উচ্চ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মডেল এর কাজে জড়িত সে। এছাড়া জনপ্রিয় অভিনেতাদের সাথে ছবিও দেওয়া ছিল তার প্রোফাইলে। কিন্তু সবই প্রতরণার করার কৌশল। এই অবস্থায় পরিবারটির পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার জন্য লেডি প্রতারক সাথীর বিচার দাবী করা হয়।



এই বিভাগের আরও