পলাশে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত: ৩ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

১৩ মে ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ১৩ মে ২০২৫, ১১:৫১ পিএম


পলাশে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত: ৩ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর পলাশে মো. মোজাম্মেল হক নামে সাবেক সেনা কর্মকর্তার ওপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে ৩ ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১ এবং র‍্যাব-১৫  এর যৌথ আভিযানিক দল। সোমবার (১২ মে) রাতে কক্সবাজার থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার  করা হয়।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ নরসিংদী সিপিএসসি এর  ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফ।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল পলাশ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. মোজাম্মেল হক। তিনি পলাশ উপজেলার বালিয়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ মিয়ার ছেলে।

মামলায় বলা হয়, গত ২ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে পলাশ উপজেলার খানেপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঘোড়াশাল সারকারখানা গেটের কাছে ছাত্রদল নেতা আমান উল্লাহ অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মো. মোজাম্মেল হকের পথরোধ করে চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সাথে থাকা দুই সহযোগী আরিফ ও বাদশা তাকে জোরপূর্বক ধরে ফেলে।

পরে আমান উল্লাহ চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মোজাম্মেলের কপালের ওপর আঘাত করে। একই সময়ে অন্য দুইজন ছুরি দিয়ে তার শরীরের নিচের অংশে একাধিক আঘাত করে গুরুতরভাবে আহত করে করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করলে স্বজনরা তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ ভর্তি করেন।

লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সজিব ভূঁইয়া বলেন, তারা ছাত্রদলের নেতা এ মর্মে লিখিত কোনো কমিটি জেলা ছাত্রদলের কাছে নেই। বিগত সময়ের আন্দোলনেও জেলা ছাত্রদলের সাথে তাদের কোনরকম সম্পৃক্ততা ছিল না। কেউ মৌখিকভাবে তাদের ছাত্রদল নেতার স্বীকৃতি দিয়ে থাকতে পারেন। তবে কারও অপকর্মের দায় ব্যক্তির, সংগঠনের নয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন প্রয়োগকে জেলা ছাত্রদল উৎসাহিত করে।

র‍্যাব-১১ এর নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার সাদমান ইবনে আলম বলেন, "সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মারধর ও হামলার ঘটনায় ৩ জনকে গতকাল রাতে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। কক্সবাজার পুলিশ তাদের পলাশ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি, সেটা মূখ্য নয়, অপরাধী হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"