পলাশে সরকারি স্কুলের মালামাল গোপনে বিক্রির চেষ্টা

১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৬:১৭ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৩ পিএম


পলাশে সরকারি স্কুলের মালামাল গোপনে বিক্রির চেষ্টা

পলাশ প্রতিনিধি:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন মালামাল গোপনে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেলেন নাছির উদ্দিন নামে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক সদস্য। নাছির স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডেরও সদস্য। এ ঘটনার ১২ দিন পার হলেও ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামের ৫৮নং মালিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর সকালে বিদ্যালয়টি পূজার ছুটি থাকা অবস্থায় নাছির উদ্দিন গোপনে ট্রাক দিয়ে বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত লক্ষাধিক টাকা মূল্যের রড, অ্যাঙ্গেল ও টিন গোপনে বিক্রি করতে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিনই মালামালগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনার ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওইসব পুরাতন মালামাল সংরক্ষিত থাকলেও এর পরিমানের কোন হিসাব নেই প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের কাছে। ঘটনার দিন কী পরিমাণ মালামাল বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বা কি পরিমান ফেরত আনা হয়েছে তাও জানা নেই কারও।


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পারুল বেগম জানান, ওই দিন পূজার বন্ধ ছিল। সকালে নাছির উদ্দিন কাউকে না জানিয়ে সহকারী শিক্ষিকার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান গেইটের চাবি এনে ভবনের ছাদ থেকে পুরাতন লোহা-টিন ট্রাকে নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে ফোন করে মালামাল ফিরিয়ে আনতে বললে তিনি কিছুক্ষণ পর তা ফিরিয়ে আনেন। বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পুরাতন মালামাল কি পরিমানে ছিল তার নির্দিষ্ট কোন হিসাব নেই।


এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এগুলো আমি নেইনি। আমার নাম বলে বিদ্যালয়ের অন্য সদস্য নিয়েছিল। পরে আমি উপস্থিত হয়ে মালগুলো ফিরিয়ে আনি।

উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, দরপত্র বা রেজুলেশন ছাড়া বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রিতো দূরের কথা ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ। সেখানে গোপনে বিক্রির জন্য নেওয়া সম্পুর্ণ অবৈধ।



এই বিভাগের আরও