সন্ধ্যা নদীতে বিলীন বিদ্যালয়

০৮ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১১ পিএম | আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম


সন্ধ্যা নদীতে বিলীন বিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশোয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টারটি। পূজার বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে কোনরূপ হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সন্ধ্যা নদী ভাঙতে ভাঙতে সোমবার গভীর রাতে ভবনটির খুব কাছে চলে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টারটি সন্ধ্যা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম পরিদর্শনকালে ওই ভবনটি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। দুই মাস আগে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাঙনরোধে অস্থায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার ৩০০ বস্তা বালু ভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করা যায়নি ভবনটি।

সিডরের পরে ভাঙনকবলিত আশোয়ার গ্রামের মানুষের আশ্রয়ের জন্য ২০০৮- ২০০৯ অর্থবছরে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাইক্লোন শেল্টার ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

নদী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর ধরে সন্ধ্যা নদীর করাল গ্রাসে হানুয়া ও আশোয়ার গ্রামের প্রায় দুইশ পরিবারের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে বিদ্যালয়টি। কয়েকদিন ধরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা বিদ্যায়লটি রক্ষার জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল। তাদের অভিযোগ ভাঙন প্রতিরোধে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে রক্ষা করা যায়নি বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসলেম আলী হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আমাদের চোখের সামনে বিদ্যালয়টি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের ভেতরের মালামাল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার মানুষ আংশিক উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকি মালামালসহ ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

উপেজেলা শিক্ষা অফিসার তাসলিমা বেগম বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের ক্লাসের জন্য অন্য স্থানে জমি দেখা হচ্ছে। আশাকরি দ্রুত তাদের পড়াশোনা শুরু করা যাবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও