ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক যুবকের দুইহাত কর্তন

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৩১ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৫ এএম


ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক যুবকের দুইহাত কর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাঁপাইনবাবগঞ্জের উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির দুই হাত কব্জি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক চিকিৎসক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, রুবেল হোসেন (২৮) নামে এই ব্যক্তিকে বুধবার রাতে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার দুই হাত কেটে কব্জি থেকে বিছিন্ন রয়েছে। তা আর জোড়া লাগানো সম্ভব নয়। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত নয়। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।


রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে। শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিন ও রুবেলের মধ্যে এলাকার একটি ফেরিঘাট থেকে চাঁদা আদায়ের বিরোধের জেরে হাত কাটার এই ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
চিকিৎসাধীন রুবেল বলেন, এলাকার একটি ফেরিঘাট নিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের সঙ্গে আমার বিরোধ রয়েছে। এর জেরে আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে দুই হাত কব্জি থেকে কেটে ফেলে। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় বলে তিনি জানান।


রুবেলের চাচাত ভাই আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার রাতে রুবেল তার দুই বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। উজিরপুর বেড়িবাঁধের কাছে কয়েকজন তাদের পথরোধ করে। তারা তাদের চেয়ারম্যান ফয়েজের চেম্বারে গিয়ে দেখা করতে বাধ্য করে। রুবেল বন্ধুদের নিয়ে চেয়ারম্যানের চেম্বারে গেলে তার দুই বন্ধুকে সেখানে আটকে রাখা হয়। আর রুবেলের মুখ ও চোখ গামছা দিয়ে বেঁধে পদ্মার বেড়িবাঁধের নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে নির্যাতন করে দুই হাতের কব্জি কেটে নেয়।”
রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে, সেখান থেকে রাজশাহী নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।


সালাম আরো বলেন, পদ্মা নদীর উজিরপুর ফেরিঘাট নিয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজের সঙ্গে রুবেলের বিরোধ রয়েছে। স্থানীয় একজন ঊর্ধ্বতন নেতার মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ ঘাটটি চালাচ্ছিল।
কিছুদিন ধরে চেয়ারম্যান ফয়েজ ফেরিঘাটটি পুরো নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে চাচ্ছিলেন। এর জেরেই রুবেলকে তুলে নিয়ে তার দুই হাত কেটে কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ফয়েজ উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সাড়া না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে রাতেই সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও