ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত লোকমানের ৪১ কোটি টাকা বিদেশের দুই ব্যাংকে

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম


ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত লোকমানের ৪১ কোটি টাকা বিদেশের দুই ব্যাংকে

টাইমস ডেস্ক:

ক্যাসিনো থেকে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন রাজধানীর ফকিরাপুল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের পরিচালক ডিরেক্টর ইনচার্জ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক বিসিবি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। এই টাকার একটি অংশ লোকমান অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাংকে জমা রেখেছেন। বর্তমানে ওই দুই ব্যাংকে রাখা টাকার পরিমাণ ৪১ কোটি বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান। বছিলা র‌্যাব-২ এর কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে বুধবার রাত নয়টার দিকে তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার বাড়িতে বিপুল মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। তবে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির জন্যই তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নেতৃত্বেই মোহামেডান ক্লাবে চলত ক্যাসিনো ব্যবসা। ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে লোকমান সহায়তা করতেন তাকে। তাই সময়মতো পৌঁছে দেয়া হতো ক্যাসিনো থেকে অর্জিত টাকা।

র‌্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাল বলেন, ‘আমরা লোকমান হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এরই মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি স্বীকার করেছেন ক্যাসিনোর ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে ২১ লাখ টাকা পেতেন। সেই হিসেবে তিনি (লোকমান) প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা করে পেতেন। ক্যাসিনোয় জড়িতরা যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

‘মোহামেডান ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন লোকমান। তার এই টাকাগুলো অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাংক, কমনওয়েলথ ও এএনজেড ব্যাংকে রাখা আছে।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার ওই দুই ব্যাংকে তার ৪১ কোটি টাকা রয়েছে। তার ছেলের অস্ট্রেলিয়া পড়ার সুবাদে, তিনি প্রায়ই অস্ট্রেলিয়াতে যান।’

রবিবার বিকালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিএমপি মতিঝিল বিভাগ। ক্লাব থেকে ১৬টি ডিজিটাল ক্যাসিনো বোর্ড, তাস খেলার বিপুল পরিমাণ সামগ্রী, জুয়া খেলার সামগ্রী এবং মাদকদ্রব্য (মদ, সিসা) উদ্ধার করা হয়। এদিন মোহামেডান ছাড়াও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, দিলকুশা ক্লাব ও আরামবাগ ক্লাবেও অভিযান চালানো হয়।

মোহামেডানে ক্যাসিনো চালাতেন ১৩ নেপালি। যাদের প্রত্যেকের ডলারে বেতন দেয়া হতো। মাসে যার পরিমাণ ছয় লাখেরও বেশি। জানা গেছে, এই ১৩ নেপালি নাগরিকের মাসিক ৬০০ ডলার (৫১ হাজার ৩০০ টাকা) থেকে শুরু করে ১ হাজার ডলার (৮৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত ছিল। প্রতিমাসে এই ১৩ নেপালি নাগরিককে ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকার বেতন দিত মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব কর্তৃপক্ষ।


বিভাগ : বাংলাদেশ


এই বিভাগের আরও