শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্বাসিত হয়েছে
২০ মে ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩৪ এএম

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকেরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এদেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। শনিবার (২০ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘আপনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ও শান্তির দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। অন্যান্য অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। অনুষ্ঠানের মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড মুনতাসীর মামুন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ফারুক।
আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আমাদের বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ঐতিহাসিক একটি দিন। তিনি একটি যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে গঠন করেছিলেন। দেশের অর্থনীতি, রাস্তা-ঘাট, মানুষের মাথাপিছু আয়, সংবিধান প্রণয়নসহ সবক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো করেই কাজ করে চলেছেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মার্চ তিনি বাংলাদেশে ফিরে না এলে আজকের বাংলাদেশ আমরা পেতাম কি না সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতিকে ধারন করে দেশকে বর্তমানে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আজকেও বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। দেশে নাকি নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। নির্বাচনের সকল দায়দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই সময় সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে।
বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও গবেষক অধ্যাপক ড মুনতাসীর মামুন বলেন, আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের কিছু বৃত্ত আছে যেগুলো ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজের লক্ষ্য ঠিক রেখে একটি জাতির নেতা হয়ে উঠেছিলেন। কলকাতা থেকে ঢাকায় এসে মাত্র এক বছরের মধ্যে আলোচিত ছাত্রনেতা হয়ে উঠলেন। শুধুমাত্র সাহস ও নেতৃত্বের কারনে বঙ্গবন্ধু তার সমসাময়িক সব রাজনীতিবিদকে পিছনে ফেলে সময়ের শ্রেষ্ঠ নেতা হয়ে উঠেছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলার ছাত্র জনতা সেদিন যুদ্ধের করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন তখন রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও এটা বুঝেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চাকা আবারও চলবে। তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবারো জাগ্রত হয়েছিল। এখনও জাগ্রত আছে।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা যখন দেশে ফিরে এলেন তখন এদেশের প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষ সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছিল। তিনি সারা বাংলা ঘুরে ঘুরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। শেখ হাসিনা তার কয়েকটি কাজের জন্য তিনি ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনরায় পূনর্বাসন করা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন করে, সমুন্নত রেখে রাজনীতি করে যাচ্ছেন। সে কারনেই তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে ফিরে প্রথম বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্তি দিতে এসেছি, আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে আসিনি।’ নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে শেখ হাসিনা সেই পথ হেটে যাচ্ছেন। তাই সবাইকে আগামীতে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে দেশের মানুষকে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আহ্বান জানান। সেজন্যে সবাইকে দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড আ ব ম ফারুক মিলনায়তনে উপস্থিত ও অনলাইনে যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
- রেড ক্রিসেন্ট নরসিংদী ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীতে দুটি আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
- নরসিংদীর দুটি আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, গণফোরামের স্থগিত
- নরসিংদীতে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন
- ছাত্রলীগ নেতা রিমনের মুক্তি না হলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুশিয়ারি
- নরসিংদীতে স্বতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থীরা
- স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি: নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিমন গ্রেপ্তার
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নরসিংদীর ৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা
- কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোন ওষধ নাই
- নরসিংদী- ৪: স্বতন্ত্র লড়বেন মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু
- রেড ক্রিসেন্ট নরসিংদী ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
- নরসিংদীতে দুটি আসনে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
- নরসিংদীর দুটি আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, গণফোরামের স্থগিত
- নরসিংদীতে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসীদের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মানববন্ধন
- ছাত্রলীগ নেতা রিমনের মুক্তি না হলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুশিয়ারি
- নরসিংদীতে স্বতন্ত্রের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকার প্রার্থীরা
- স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি: নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিমন গ্রেপ্তার
- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: নরসিংদীর ৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা
- কোন স্বতন্ত্র মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোন ওষধ নাই
- নরসিংদী- ৪: স্বতন্ত্র লড়বেন মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরু