ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি না যেতে বিশেষ নির্দেশনা

২৭ জুলাই ২০২০, ০৭:৪২ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:২০ পিএম


ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি না যেতে বিশেষ নির্দেশনা
ফাইল ছবি

অর্থনীতি ডেস্ক:

আসছে কোরবানি ঈদে পোশাক শ্রমিকদের বাড়ি না যেতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তৈরি পোশাক খাতে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শ্রমঘন এ শিল্পের শ্রমিকরা যেন ঈদের তিনদিন ছুটি পেয়েই গ্রামের বাড়িমুখো না হয় সে জন্য পোশাক মালিকদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান। সম্প্রতি গার্মেন্টস মালিক এবং শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত রোজার ঈদের মতো এবারের কোরবানির ঈদেও যেন শ্রমিকরা বাড়িতে না যান। বিজিএমইএ’র এই নির্দেশনার পর গার্মেন্ট মালিকরাও তাদের শিল্প-কারখানাগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের আবশ্যিকভাবে কর্মরত এলাকা ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।

তবে এই খাতের লাখ লাখ শ্রমিক ছুটি পেয়ে দল বেঁধে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলে তাদের ফেরানো কঠিন বলে মনে করছে শিল্প পুলিশ।

বিগত বছরগুলোর মতোই এবারের কোরবানির ঈদেও তৈরি পোশাক কারখানা তিন দিন বন্ধ থাকবে। এই তিন দিন সরকারিভাবেও ছুটি থাকবে। তবে কোনও শ্রমিক যাতে ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না যান, সেজন্য কারখানাগুলো থেকে বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে ২২ জুলাই শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে এ ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহার সময় শিল্প-কারখানাগুলোর কার্যক্রম সরকার ঘোষিত ঈদের সাধারণ ছুটির দিন ছাড়া চলমান রাখা যেতে পারে। পাশাপাশি শিল্প-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের আবশ্যিকভাবে কর্মরত এলাকায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

তবে শ্রমিকদের পাশাপাশি কারখানার মালিকরাও মনে করছেন, তাদের এই নির্দেশনা শ্রমিকরা হয়তো মানবেন না। কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করছেন, গত রোজার ঈদে অনেক শ্রমিক বাড়ি যেতে পারেননি। তাই এবারের ঈদে হয়তো মালিকদের নির্দেশনা উপেক্ষা করেই শ্রমিকরা বাড়ি যাবেন।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সহিদুর ইসলাম সবুজ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে আমরা শ্রমিকদের আহবান জানিয়েছি তারা যেন ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে না যায়। সরকারের নির্দেশনা যেন মেলে চলে। আমরা মালিকদেরও আহবান জানিয়েছি তারা যেন শ্রমিকদের ঈদের বেতন-বোনাস সঠিকভাবে দিয়ে দেন।

সবুজ বলেন, শ্রমিকদের আমরা বলি স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলের কাছে থাকুক, দূরে না যাক। সেটা আমরা বলি। তবে সেটা ঈদের সময় অনেকেই শোনে না। আবার অনেকে টাকা-পয়সা পাবে না তারা ঠিকমতো বাড়িতে যেতে পারবে না। কিন্তু যারা টাকা-পয়সা পাবে তারা কিন্তু ঈদে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করে।

জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি গণমাধ্যকে বলেন, শ্রমিকদের বলেছি তারা যেন কর্মস্থলে থাকেন, গ্রামের বাড়িতে না যায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো পোশাক শ্রমিকরা যখন দেখবে অন্য পেশার লোকজন ছুটি পেয়ে বাড়ি যাচ্ছে, তখন তারাও হয়তো বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবে। আর এমন পরিস্থিতি হলে আমাদের এখানে কী করার আছে।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও