গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ হওয়ার পথে

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৩ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম


গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি বন্ধ হওয়ার পথে
ফাইল ছবি

অর্থনীতি ডেস্ক:

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান জানিয়েছেন, অচল বা ব্লকড সিম বিক্রির অনুমতি না পেলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে গ্রামীণফোনের সিম সঙ্কট দেখা দেবে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জিপি হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার এ আশঙ্কার কথা জানান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের (জিপি) প্রধান নির্বাহী।

ইয়াসির আজমান বলেন, বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা কোনো নম্বর সিরিজ পাচ্ছি না যে রিসাইকেলিং করা যায়, সে নম্বর আমাদের হাতে নেই এখন। আগামী এক সপ্তাহ পরে একটি সিচুয়েশন আসবে, আমরা নম্বর দিতে পারব না।

গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন ০১৭ সিরিজের প্রায় ১০ কোটি নম্বর শেষ হয়ে আসছে জানিয়ে ২০১৫ সালে নতুন সিরিজের আবেদন করার পর নতুন সিরিজ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রামীণফোনের জন্য বরাদ্দ ০১৩ সিরিজে ০১৩০ দিয়ে এক কোটি এবং ০১৩১ দিয়ে এক কোটি অর্থাৎ দুই কোটি সিম বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে গ্রামীণফোনের সক্রিয় গ্রাহক এখন ৭ কোটি ৬৪ লাখ।

ইয়াসির বলেন, আমরা এই মুহূর্তে খুব ভীত যে পেঁয়াজের মতো আরেকটি সিচুয়েশন হবে, এটি আমাদের কন্ট্রোলের বাইরে চলে যাচ্ছে যদি নম্বর দিতে না পারি। মার্কেটে সিমের প্রাইস অনেক বেড়ে যাবে, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে দুইভাবে সিম আসে, নতুন নম্বর সিরিজ আসে এবং আরেকটি হল এক্সিস্টিং নম্বর সিরিজ চাঙ্ক হয়ে যায় একটি সার্টেন পিরিয়ডের পর, রেগুলেটরের (বিটিআরসি) নিয়ম অনুযায়ী রিসাইকেলিং করার পারমিশন আমরা পাই। এই রিসাইকেলিং করার অনুমোদনটা রেগুলেটরের কাছ থেকে পাচ্ছি না। এ কারণে আমাদের ৩ মিলিয়ন এক্সিস্টিং রিসাইকেলিং করা সিম আটকে গেছে। আমাদের হাতে যে নম্বরগুলো আছে সেই নম্বর দিয়ে আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি মার্কেটের ডিমান্ড কভার করা যাবে না।

গ্রামীণফোনের প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার নম্বর দরকার হয় বলে দাবি করেন কোম্পানির সিইও। তিনি বলেন, এটি (অনুমতি) না হলে সমস্যা হবে। তবে কারও সিম হারিয়ে গেলে সেটি উত্তোলনে সমস্যা হবে না।

বিটিআরসি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপারেটরদের কোনো সিম ১৫ মাস অচল থাকলে তা আবার নতুন করে বিক্রি করা যাবে। অপারেটরগুলো এ ধরনের সিম চিহ্নিত করার পর বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে বিক্রি করে থাকে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ইয়াসির আজমান বলেন, দেশজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সহায়তা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। পাশাপাশি দেশব্যাপী আরও শিশুদের সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও