দুধে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দেশ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৪৩ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৯ এএম


দুধে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দেশ মাছ, মাংস ও ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার বিশাল ভূমিকা রয়েছে। দুধে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও দেশে মাছ, মাংস ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই শুধু না কোন কোন ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত উৎপাদন হচ্ছে। এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন বৃদ্ধি করা, এখন আমাদের লক্ষ্য শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়ন। মাংস,ডিম, মাছ, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিই শুধু নয়, খাতে গুণগত পরিপূর্ণতা আনা আমাদের লক্ষ্য। যেটা টেকসই উন্নয়নের একটা অংশে পরিণত হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) মিলনায়তনে ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা প্রযুক্তি হস্তান্তর ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানো, খাবারের চাহিদা পূরণ, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন, বেকারত্ব দূর করা উদ্যেক্তা তৈরিতে প্রাণিসম্পদ খাতের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে কৃষিজ জিডিপিতে খাতের অবদান ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৯৭২ সালে দেশে জনপ্রতি দুধের প্রাপ্যতা ছিল ১৭ মিলিলিটার, বর্তমানে জনপ্রতি প্রাপ্যতা প্রায় ২০৮ দশমিক ৬১ মিলিলিটার। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা ছিল দশমিক ৯৭ গ্রাম, যা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১৪৭ দশমিক ৮৪  গ্রাম। জনপ্রতি বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ছিল মাত্র টি, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ দশমিক টিতে। এভাবে খাতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গবেষণাধর্মী কাজ। এর মাধ্যমে খাতের পরিসর বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক . এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব . নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব টি এম মোস্তফা কামাল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই-এর পরিচালক (গবেষণা) . নাসরিন সুলতানা।

দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় ২০২১-২২ অর্থবছরে বিএলআরআই এর মোট ৭৩ টি গবেষণা কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএলআরআই উদ্ভাবিত দেশি আবহাওয়ায় পালন উপযোগী অধিক মাংস উৎপাদনশীল বিএলআরআই মিট চিকেন- (সুবর্ণ) এবং লবণসহিষ্ণু বিএলআরআই ঘাস- জাত দুটি প্রযুক্তি আকারে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিএলআরআই-এর সাবেক মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিএলআরআই-এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও