স্বামীকে তালাক দিলেন চিত্রনায়িকা শাবনূর
০৪ মার্চ ২০২০, ১২:২৫ পিএম | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ এএম
বিনোদন ডেস্ক:
শাবনূর। বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়কার জনপ্রিয় নাম। আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে স্বামী অনিকের সঙ্গে সংসার করছিলেন তিনি! তবে সম্প্রতি ‘বনিবনা হচ্ছে না’-এমন কারণ দেখিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি স্বামীকে তালাক দিয়েছেন ঢালিউডের একসময়কার নাম্বার ওয়ান চিত্রনায়িকা শাবনূর। তালাকের নোটিশটি তার অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়েছেন শাবনূর।
এই বিষয়ে জানতে শাবনূর-অনিক কাউকে না পাওয়া গেলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ।
তিনি বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি অনিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করেছেন শাবনূর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়। উত্তরার নোটিশটি ফেরত এলেও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশ এখনো ফেরত আসেনি। নোটিশটি অনিক গ্রহণ না করলে এর মধ্যেই ফেরত আসত। তবে আইনগতভাবে তাঁদের এই তালাক কার্যকর হবে ৯০ দিন পর।
তালাকের নেপথ্যে জানা গেছে, শাবনূরের স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং তার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। তিনি মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে শাবনূরের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান। বিশেষ করে তাদের ছেলের জন্মের পর থেকে তিনি নাকি স্ত্রী শাবনূরের কাছ থেকে দূরে থাকছেন এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
শাবনূরের অভিযোগ, একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে তার স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না, উল্টো নানাভাবে আমাকে নির্যাতন করে। এসব কারণে আমার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। চেষ্টা করেও এসব থেকে তাকে ফেরাতে পারিনি। বরং আমার সন্তান এবং আমার ওপর নির্যাতন আরো বাড়তে থাকে। উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মনে হয় তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না।
তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।
২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের মা হন শাবনূর। পুত্রকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন।
১৯৭৯ সালের যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে শাবনূরের জন্ম। তার পারিবারিক নাম কাজী শারমিন নাহিদ নুপুর। পরে স্বনামধন্য নির্মাতা এবং তার মেনটর এহতেশাম তার নাম রাখেন শাবনূর। শাবনূর শব্দের অর্থ রাতের আলো। আর সত্যিই তিনি সিনেমাজগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়েই আলো ছড়িয়েছেন।
বিভাগ : বিনোদন
- অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেয়া হবে: ড. আব্দুল মঈন খান
- নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর প্রতিবাদ
- নরসিংদীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে মতবিনিময় সভা না করেই ফিরে গেলেন সারজিস আলম
- গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
- ৮ নভেম্বর রায়পুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ম্যারাথন
- ঘোড়াশালের জঙ্গল হতে শটগান উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
- পলাশে হামলা ভাংচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা
- পলাশে জুটমিলে হামলা-ভাঙচুর লুটপাট ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত
- অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেয়া হবে: ড. আব্দুল মঈন খান
- নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীর প্রতিবাদ
- নরসিংদীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
- হাসিনা সরকারের পতনের পর সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে: খায়রুল কবির খোকন
- নরসিংদীতে মতবিনিময় সভা না করেই ফিরে গেলেন সারজিস আলম
- গ্রাম বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
- ৮ নভেম্বর রায়পুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ম্যারাথন
- ঘোড়াশালের জঙ্গল হতে শটগান উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
- পলাশে হামলা ভাংচুরের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য জনতা জুটমিল বন্ধ ঘোষণা
- পলাশে জুটমিলে হামলা-ভাঙচুর লুটপাট ৬ নিরাপত্তাকর্মী আহত