লকডাউনে আপনার মানসিক চাপ কমান ৫ উপায়ে
২১ এপ্রিল ২০২০, ১১:০৩ পিএম | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪১ এএম

জীবনযাপন ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনারভাইরাস। সারা বিশ্বই আজ স্তব্ধ। দেশে দেশে চলছে লকডাউন, ঘরে বন্দি মানুষ। এ এক অদ্ভুত অনিশ্চয়তা। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে থাকার অক্ষম প্রচেষ্ঠা। বাইরে বেরুলে করোনার সংক্রমণ, বাড়িতে থাকলে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ভিতরে জমতে থাকা দুশ্চিন্তা, অবসাদ আপনার আত্মবিশ্বাসও ভেঙেচুরে দিতে চাইছে। আবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যস্ত শিডিউলের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও কারও কারও বেশ অসুবিধাই হচ্ছে। বাড়ির কাজ করে অফিসের কাজ সময়মতো শেষ করা যাচ্ছে না। ফলে, রাত জাগতেই হচ্ছে। বিছানায় শোয়ার পরেও ঘুম আসছে না কিছুতেই!
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিচের উপায়গুলো জেনে নিন...
(১). লকডাউনের এই অস্থিরতায় একটা রুটিন বানিয়ে ফেলুন। বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করছেন মানে আপনার স্বাভাবিক রুটিন কিন্তু অনেকটাই বদলে গেছে। কাজেই এই সময়ের জন্য আমাদের একটা নতুন রুটিন বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য আমাদের ঘুমের প্যাটার্নটা একটু বদলে নিতে হবে। রাত জেগে কাজ করার অভ্যেস ছাড়তে হবে। রাতে ঘুম পেলে ঘুমিয়ে পড়ুন। আর সকালে ওঠার জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই ঘুমটা ভাঙতে দিন। এতে প্রথম ক'দিন আপনি একটু বেশি ঘুমোতে পারেন। কিন্তু খুব শীঘ্রইএকটা ছন্দ চলে আসবে। তখন আর অসুবিধা হবে না।
(২). দুপুরে একেবারেই ঘুমোবেন না। বাড়িতে থাকলে দুপুরে খাওয়ার পর চোখ জড়িয়ে আসতে পারে ঘুমে। কিন্তু ঘুমোবেন না। তাতে আপনার অফিসের কাজ তো বটেই, এমনকী রাতের ঘুমও নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আগের রাতে যদি একদমই ঘুম না হয়ে থাকে, তবে একটু চোখ বুজে নিতে পারেন। খুব বেশি হলে মিনিট দশ-পনেরোর জন্য।
(৩). দুপুরে ঘুম এড়াতে শোয়ার ঘরে বসে কাজ করবেন না। তাতে বিছানায় গা একটু এলিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা হতে পারে। তাই কাজের সময় শোয়ার ঘরটা এড়িয়ে চলুন। বিছানায় নয়, চেয়ার-টেবিলে বসে কাজ করুন। প্রয়োজনীয় স্টেশনারি হাতের কাছে রাখুন। ঘড়ি ধরে কাজ করুন, যেমনটা অফিসে করেন। তাতে খানিকটা অফিসে বসে কাজ করার মতো মনে হবে।
(৪). রাতে ঘুম না হওয়া রুখতে দিনে কফি খাওয়ার পরিমাণ কমান। এমনিতেই অতিরিক্ত ক্যাফেইন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের দিকে বা সন্ধ্যার পর কফি না খাওয়াই উচিত। কফির নেশা থাকলে দিনের বেলায় খান। তবে দু'তিন কাপের বেশি নয়। কিন্তু সন্ধ্যা বা রাতের দিকে একেবারেই নয়।
(৫). সারা দিন বাড়িতে বসে বসে কাটাবেন না। কিছু শারীরিক কসরত করুন। বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে হাঁটুন, জগিং করুন। ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন। কিছু না হলে সিঁড়ি ভেঙে ওঠা-নামা করুন। ব্যায়ামটা দিনের শুরুতেই করে ফেললে সারা দিন বাড়তি এনার্জি পাবেন।
এছাড়া, রাতের খাবার খুব দেরি করে খাবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে টিভি বন্ধ করে দিন। এড়িয়ে চলুন মোবাইল। ঘরের আলো কম রাখুন। ঘরের পরিবেশ যেন যথাসম্ভব আরামদায়ক থাকে। ঘুম না এলেও রোজ নির্দিষ্ট সময়ে শুতে যান।
আর এড়িয়ে চলুন যাবতীয় দুশ্চিন্তা। আপনি যদি ক্রনিক অনিদ্রার রোগী না হন, শুধু বাড়তি মানসিক চাপ বা অবসাদের জন্যই অনিদ্রায় ভুগতে শুরু করেন, তা হলে আপনার প্রথম কাজ মানসিক চাপ কমানো। মনকে বোঝান, যে বিষয়গুলোর উপর আপনার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করেও লাভ নেই। (সূত্র- আনন্দবাজার।)
বিভাগ : জীবনযাপন
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান
- রায়পুরা কলেজ শাখা ছাত্রদলের ২ নেতার পদত্যাগ
- শিবপুরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেমিনার অনুষ্ঠিত
- আলোকবালীতে আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
- নরসিংদী সরকারি কলেজের ২৫০ কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
- শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে হামলার প্রতিবাদে নরসিংদীতে শিক্ষকদের মানববন্ধন
- পলাশে বেতন-বোনাসের দাবিতে দেশবন্ধু পলিমারে শ্রমিক বিক্ষোভ
- নরসিংদী সমবায় ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন
- মনোহরদীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধে WAVE প্ল্যাটফর্ম গঠিত
- রায়পুরায় বিএনপি নেতা শ্যামলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করল কলেজ শাখা ছাত্রদল
- ৫ দফা দাবিতে নরসিংদীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান