করোনাকালে জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে যা করবেন...

১১ জুন ২০২০, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম


করোনাকালে জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে যা করবেন...

জীবনযাপন ডেস্ক:

মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে এই সময়ে যদি একটু গা গরম হয় তাহলে অনেকেই আতঙ্কে পড়ে যায়। আর যদি সাথে সাথে গলাব্যথা বা কাশি থাকে তাহলে তো চিন্তার শেষ নেই। কোভিডের আতঙ্কে মানুষ একরকমে ভুলেই গেছে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কথা।

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে নিয়ম করে প্রতি বছর আসে ইনফ্লুয়েঞ্জা। এ বছরও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি এবং তা বাড়ছেও ক্রমাগত। সাধারণ ফ্লুয়ের সঙ্গে এ বছর যোগ হয়েছে বাড়তি ভয়। কিন্তু সত্যিই কি এত ভয় পাওয়ার কিছু আছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সব্যসাচী সেন জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে হালকা থেকে মাঝারি জ্বরের সঙ্গে গা ম্যাজম্যাজ, একটু সর্দি ভাব, কখনও নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধের মতো উপসর্গ থাকে। কাশিও হতে পারে তবে তা এমন যাতে মনে হয় কফ তোলার জন্য কাশছে, কিন্তু কফ উঠছে না। এ অবস্থায় খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। ঘরে বিশ্রামে থাকুন। গরম পানির ভাপ নিন। হালকা খাবার ও পর্যাপ্ত তরল খাবার খান। জ্বর বাড়লে প্যারাসিটামল খান। মাল্টিভিটামিনও খেতে পারেন। মাস্ক পরে বাড়ির অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে পরিবারের অন্য কারও সূত্রে করোনা ঘরে এলে সবার প্রথমে তা রোগীর শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বর ও কষ্ট মোটামুটি ২-৩ দিন থাকে। তার পর কমে যায়। বা কমতে শুরু করে। কিন্তু যদি তা না হয়, ৪-৫ দিন পরও জ্বর থাকে ও জ্বর বাড়তে শুরু করে, রোগী দুর্বল হয়ে পড়েন কিংবা ডায়ারিয়া, সর্দি কমে গিয়ে শ্বাসকষ্ট বা কাশির মাত্রা বাড়তে থাকে তা হলে সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের পরীক্ষা করা উচিত।


বিভাগ : জীবনযাপন


এই বিভাগের আরও