বেলাবতে নিখোঁজের ৭ দিন পর ঝোঁপে মিলল শিশুর অর্ধপঁচা লাশ

২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১১ পিএম


বেলাবতে নিখোঁজের ৭ দিন পর ঝোঁপে মিলল শিশুর অর্ধপঁচা লাশ

বেলাব প্রতিনিধি:
নরসিংদীর বেলাবতে নিখোঁজের ৭ দিন পর ঝোঁপ থেকে অর্ধপঁচা অবস্থায় সোহানা আক্তার নামে ৪ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের মেরাতলীকান্দা গ্রামের একটি ঝোঁপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সোহানা জন্মের পর থেকে বেলাব উপজেলার মেরাতলীকান্দা গ্রামে তার নানা মাসুদ মিয়ার বাড়িতে বসবাস করতো। তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার টেঙ্গাপাঁড়া গ্রামে। শিশুটির মা সুমি আক্তার ও বাবা সোহেল মিয়া গাজীপুরের টঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

শিশুটির স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে নানার বাড়ির অদূরে মেরাতলীকান্দা সড়কের পাশে একটি কালভার্টের পাশে বসে শিশুটিকে কান্না করতে দেখেন প্রতিবেশিরা। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে প্রতিবেশিরা বাড়ির পাশে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে জমিতে কাজ করতে যায়। এসময় দুর্গন্ধ পেয়ে ঝোঁপঝাড়ের মধ্যে চোখ উপড়ানো অবস্থায় শিশুর লাশ দেখতে পায় তারা। লাশের একটু দূরেই পড়েছিল শিশুটির পড়নের হাফপ্যান্ট। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা শিশুটির লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বেলাব থানা পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও শিশুটির পরিবারের ধারনা শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।

শিশুটির নানা মাসুদ মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, নিখোঁজের পর থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ আড়িয়াল খাঁ নদে নাতীকে খোঁজ করতে বলেন। পরে আর জিডি করা হয়নি। আমার শিশু নাতনীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারনা করছি।

নিহত শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া বলেন, আমি স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমার শিশু সন্তান সোহানা তার নানা নানীর কাছেই থাকতো। আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে যারা নির্যাতন করে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী অনেকেই বলেছেন যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয় সেদিনও তার পড়নে কাপড় ছিল না। শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার ধারনা ভুল হতে পারে। পুলিশ এই হত্যাকা-ের তদন্ত করছে, এখনো মামলা হয়নি।



এই বিভাগের আরও