বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পানিরপাম্প বিকল, সপ্তাহধরে দুর্ভোগে রোগীরা

২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৮ এএম


বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের পানিরপাম্প বিকল, সপ্তাহধরে দুর্ভোগে রোগীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এক সপ্তাহ যাবৎ পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নরসিংদীর বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগী ও সেবাদানকারী কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডের কেবিনের ট্যাপে পানি নেই। রোগীর স্বজনরা কষ্ট করে দূর থেকে পানি আনাতে ব্যস্ত। পানি সংকটে শৌচাগারে পানি ব্যবহার কমে যাওয়ায় চরম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, স্বজন ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মোঃ লায়েছ মিয়া বলেন, 'হাসপাতালে পানি নেই, খাবারের মান ভাল না, ডাক্তার সংকট, এমন কী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ঠিকমত হাসপাতালে আসেন না।'

চিকিৎসা নিতে আসা মোঃ মানিক মিয়া বলেন, 'গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত পানি নেই, চিকিৎসাও তেমন পাচ্ছি না। পানি সংকটের জন্য বাথরুমের দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ভালো হওয়ার চেয়ে আরও অসুস্থ হচ্ছি। অনেকে অসুস্থতা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। '

রোগীর স্বজন মোঃ অলফত আলী বলেন, 'পানি না হলে এক মিনিটও চলে না। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় টয়লেটের ট্যাপে পানি নেই। অনেক রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা গরীব তাই সরকারি হাসপাতালেই পড়ে আছি।'


হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী জানান, 'হাসপাতালে কয়েকদিন যাবত পানি নেই, ডাক্তাররা তেমন বেশি চিকিৎসা দেন না,বাহির থেকে সব কিছু কিনে আনতে হয়। তাই আমরা চলে যাচ্ছি।'


এ বিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দা তানজিনা আফরিনের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।


হাসপাতালটির মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বেনজির দুরদানা জানান, পানির পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাবার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। পানির পাম্প ঠিক করতে দেয়া হয়েছে। এটি মেরামত হলেই আর এ সমস্যা থাকবে না।


নরসিংদীর সিভিল সার্জন মো: নূরুল ইসলাম বলেন, 'দুর্ভোগের কথা শুনে প্রকৌশলীকে জানিয়েছিলাম। বিকল্প কিছু করা যাচ্ছে না। পাম্প মোটর ইতোমধ্যে খুলে মেরামতের চেষ্টা চলছে। আশা করছি দুই তিন দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।'



এই বিভাগের আরও