নরসিংদীতে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করার দায়ে এক নারীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

১৫ জুলাই ২০১৯, ১১:৫৫ পিএম | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ পিএম


নরসিংদীতে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করার দায়ে এক নারীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

নরসিংদীতে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে নাসিমা বেগম (২৯) নামের এক আসামীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর দেড়টায় নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. জুয়েল রানা এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নাসিমা বেগম নরসিংদীর বেলাব উপজেলার চর আমলাব এলাকার মো. শাফিউদ্দিনের মেয়ে। নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রিনা দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর মৃত্যুর পর বেলাব উপজেলার চর আমলাব এলাকার বাবার বাড়িতে চলে আসেন নিঃসন্তান ফিরোজা বেগম (৫০) নামের এক নারী। তার সাথে বসতবাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ তৈরি হয় চাচাতো বোন নাসিমা বেগমের। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে নাসিমা বেগম ও তার ছোটভাই অন্তরসহ সঙ্গীয় লোকজন ফিরোজাকে মারধর করেন। এতে ফিরোজার বাম চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় সাতজনকে আসামী করে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে মামলা করেন ফিরোজার ভাই কাজল মিয়া।

২০১৫ সালে সে মামলার রায়ে অন্তরকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় আর নাসিমা বেগমসহ পাঁচ আসামী ছয়মাস জেল খাটার পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এই মামলায় আপোষ মিমাংসা করতে না পারার ক্ষোভ থেকে মামলার বাদী কাজল মিয়া ও ফিরোজা বেগমের মেয়ের জামাই রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলা করেন নাসিমা। পরে আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ওই মিথ্যা মামলার অভিযোগে নাসিমার বিরুদ্ধে আবার পাল্টা মামলা করেন ধর্ষণ চেষ্টা মামলার ১নং আসামী কাজল মিয়া। এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় অাদালত নাসিমাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী খন্দকার হালিম জানান, নিশ্চয়ই কোন অসৎ লোকের পরামর্শে মিথ্যা মামলাটি করেছিলেন নাসিমা বেগম। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত নাসিমা বেগমকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন। আর জরিমানার ২০ হাজার টাকা মামলার বাদীকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।



এই বিভাগের আরও