পাঁচদোনায় ফলের আড়তে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৫

১৪ জুন ২০২৩, ০৭:২৫ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৬ এএম


পাঁচদোনায় ফলের আড়তে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মাধবদী থানার পাঁচদোনায় জোরপূর্বক একটি আড়তের নিরাপত্তা বেস্টনী ভেঙে ফেলার সময় বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আড়ৎ মালিক পক্ষের  ৫ জন আহত হয়েছেন। বুধবার ( ১৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাঁচদোনা মোড় সংলগ্ন আল্লাহর দান ফল ও কাঁচামালের আড়তে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মেহেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত'র নির্দেশে এই হামলা করা হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী পক্ষের।

আহতরা হলেন- আড়ৎ মালিক পক্ষের মাধবদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগীরথপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ৩ ছেলে নোবেল (২৬), পাভেল (৩০) ও জুয়েল ( ৩৫), দীঘিরপাড়ের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হৃদয় (২২) ও কুড়ের পাড়ের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (২৪)। এদের মধ্যে জুয়েলকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিরা নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আড়ৎ এর অংশীদারি মালিক (পার্টনার) রাসেল মাহমুদ জানান, প্রায় ৭ বিঘা জমির খাদের উপর মাটি ভরাট করে নির্মিত আড়তটির পেছনের দিকে একটি প্রবেশপথ রাখা হয়েছিল। আড়ৎ নির্মাণকালে মালামাল পরিবহনের কাজে সেটি ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ওই পথে আড়তের মালামাল চুরি হওয়ায় সম্প্রতি তা বন্ধ করে নিরাপত্তা বেস্টনী বা দেয়াল তৈরি করা হয়।

তিনি আরও জানান, ২০২১ সালে স্থানীয় রতন ভুঁইয়া ও রিপন ভুঁইয়া গং এর কাছ থেকে ১০ বছর মেয়াদে জমিটি ভাড়া নিয়ে সেখানে আল্লার দান ফল ও কাঁচামালের আড়ৎ নামে অংশিদারীত্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। ওই সময় স্থানীয় মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্ত আড়তের আরেক পার্টনার কামাল হোসেনকে ডেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সুরাহা হয়। কাংখিত চাঁদা না পাওয়ায় ওই সময় থেকেই আড়ৎটির প্রতি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ ছিলো।

এই জেরে বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশদের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক বেস্টনী দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয় বলে দাবি তার। এসময় এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রাসেল মাহমুদ।  

এ ব্যাপারে মেহেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজহার অমিত প্রান্তর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি জানান, স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে বাঁধা দিতে আসলে আড়ৎ মালিক পক্ষের কয়েকজনকে স্থানীয় জনতা গণধোলাই দেয়।

এব্যাপারে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটিকে তিনি নিছক হাতাহাতি বলে অভিহিত করে জানান, কারো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।



এই বিভাগের আরও