মাধবদীতে প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামী, হুমকিতে কোণঠাসা নির্যাতিত নারী

২২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩২ এএম


মাধবদীতে প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামী, হুমকিতে কোণঠাসা নির্যাতিত নারী
নির্যাতিত রোকসানা বেগম

মো. আল-আমিন সরকার:

নরসিংদীর মাধবদীর টাটাপাড়া মহল্লায় সোহরাব (২৬) নামের প্রতিবেশী বখাটে কর্তৃক মারপিটে আহত হয়ে মামলা করে আসামীর হুমকির মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রোকসানা বেগম (৪০) নামে এক নির্যাতিত নারী। মামলার ১৯ দিন পার হয়ে গেলেও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওই নারীর। এ ব্যাপারে বারবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও না পাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় আছেন নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী রোকসানা বেগম জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মাধবদী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ টাটাপাড়া মহল্লার মো. জয়নাল আবেদীনের বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়িও একই এলাকায় এবং বাড়ির মালিক  মো. জয়নাল আবেদীন সম্পর্কে তার আত্মীয় হন। ওই বাড়ির মালিক প্রবাসে থাকায় একই এলাকার মোজাম্মেল হক এর বখাটে ছেলে মাদক কারবারে জড়িত সোহরাব নানাভাবে ওই বাড়িটিকে মাদক বিক্রির ঘাটি হিসেবে ব্যবহারের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। বাড়িটির ভাড়াটিয়াদেরকেও বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে মারধর ও ভয়ভীতি দেখায় সোহরাব। এছাড়া ওই বাড়ির বিভিন্ন গাছপালা কেটে ক্ষতিসাধন ও জিনিসপত্র চুরি করে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে রাখার ফলে ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়াও টিকে না। সোহরাবের এসব অপকর্মে কেয়ারটেকার রোকসানা বেগম বাধা দিতে গেলে কয়েকদফা মারধরের শিকার হয়।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দফায় দফায় পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও প্রতিকার মিলেনি। সর্বশেষ গত ২ জুলাই দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে টাটাপাড়া প্রিন্সিপাল বাড়ির মসজিদের সামনে রোকসানার উপর আচমকা হামলা চালায় সোহরাব। তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। এসময় তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও তার স্বজনরা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় সোহরাব। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসা শেষে ওই নারী মাধবদী থানায় একাধিকবার অভিযোগ করতে গেলেও তা আমলে নেননি মাধবদী থানার ওসি রকিবুজ্জামান। পরে ঘটনাটি নরসিংদীর তৎকালীন পুলিশ সুপার অবহিত হলে তার নির্দেশে গত ৪ জুলাই মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় সোহরাবকে প্রধান আসামী করে আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলার ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামী সোহরাব। উল্টো প্রকাশ্যে বাদীর বাড়ির সামনে দিয়ে ঘুরাফেরা এবং নানাভাবে তাদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ফলে হাত ভাঙ্গার সঠিক চিকিৎসাও করাতে পারছেন না বলে জানান নির্যাতিত ওই নারী।

এ বিষয়ে জানতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে, বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে জানান।



এই বিভাগের আরও