মাধবদীতে চেতনা নাশক ঔষুধ খাইয়ে যুবক হত্যার অভিযোগে ১ জন আটক

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৫:৫৯ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম


মাধবদীতে চেতনা নাশক ঔষুধ খাইয়ে যুবক হত্যার অভিযোগে ১ জন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে মেহেদী হাসান (২১) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ইয়াছিন (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের পিতা হোসেন আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিরকুটিয়ার শরাফত আলীর ছেলে ইয়াছিন (১৯) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগে জানা যায়, মেহেদী হাসান গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত বারোটার দিকে ওয়াজ শুনে ঝিরকুটিয়া গ্রামে তার বাড়ি ফিরছিলো। পথে মাধবদী থানাধীন শ্যামতলী ঈদগাহের নিকট পৌঁছলে আসিফ, সুজন, আব্দুল্লাহ ও ইয়াছিনসহ আরো ৬/৭ জনের সংঘবদ্ধ দল তার গতিরোধ করে এলোপাথাড়িভাবে মারপিট করে এবং তাকে মাটিতে শুইয়ে জোরপূর্বক চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায়। জনৈক শরীফ মিয়ার মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে প্রথমে আড়াইহাজার হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেহেদী হাসান চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মাধবদী থানায় অভিযোগ দেন পিতা হোসেন আলী। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

আসামিরা হলো, নরসিংদীর মাটিয়াল কান্দা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে আসিফ (১৮), জামাল উদ্দিনের ছেলে সুজন (২০), দড়িকান্দি গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০) ও ঝিরকুটিয়া গ্রামের সফর আলীর ছেলে ইয়াছিন (২১) সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন।

এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার পর সন্ধ্যায় পুনরায় মেহেদী হাসান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে দশটায় তার মৃত্যু হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র পাল বলেন, অভিযোগ পেয়ে রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মাধবী থানার ওসি তদন্ত শাফায়েত হোসেন পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের ধরতে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

 



এই বিভাগের আরও