নরসিংদীতে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

২৪ আগস্ট ২০২০, ১২:২৯ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম


নরসিংদীতে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে আন্তঃজেলা অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রবিবার (২৩ আগস্ট) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারকৃতরা হলো নারায়ণগঞ্জ এর আড়াইহাজার উপজেলার ছনপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫০) ও নরসিংদীর মাধবদী থানার পাকুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোসাঃ জরিনা আক্তার সাথী (৩০)।


গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজারের রিতু মেডিকেল হল নামে একটি ঔষধের দোকানী রিতু সিংহ প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার (২২ আগস্ট) বাড়ি থেকে দোকানে আসেন এবং ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ঐদিন রাত ৯টায় রিতু সিংহের কাকাতো ভাই মিঠুন সিংহের বন্ধুর মোবাইল নম্বরে রিতু সিংহের মোবাইল নম্বর হতে ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় রিতু সিংহ অজ্ঞাতনামা লোকের নিকট আটক আছে এবং ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তাকে মুক্তি দিবে, নতুবা মেরে ফেলবে।
ঘটনাটি মিঠুন সিংহ অবগত হয় এবং মোবাইলে যোগাযোগ করলে অপহরণকারীরা রিতুকে মারমিট করে কান্নার শব্দ শোনায়। পরবর্তীতে রিতুর আত্মীয়স্বজন অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৩৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলেও তারা রিতু সিংহকে মুক্তি দেয়নি। পরিবারের লোকজন নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরদিনন রবিবার (২৩ আগস্ট) সকালে নরসিংদীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অপহরণের বিষয়টি মৌখিকভাবে অবগত করেন।


মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই জাকারিয়া আলম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে পাঁচদোনা মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহৃত রিতুর সাথে থাকা মোবাইল সেট, জাতীয় পরিচয়পত্র, ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড রেখে রবিবার (২৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় কাকশিয়া এলাকায় রিতুকে ছেড়ে পালিয়ে যায়।


পরবর্তীতে এসআই জাকারিয়া আলম অপহরণের শিকার রিতুকে নিয়ে মাধবদী থানার পাকুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং বিকেল ৪টায় অপহরণ ঘটনায় জড়িত আন্তঃজেলা অপহরণ চক্রের সদস্য নুরুল ইসলাম ও মোসাঃ জরিনা আক্তারকে গ্রেফতার করেন। এসময় আসামীদের দখল হতে লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।


অপহরণের শিকার রিতু সিংহ জানায়, অপহরণকারী চক্রের মহিলাটি রং নম্বরে কথা বলে ফুসলিয়ে কৌশলে তার বাড়িতে নিয়ে তাকে আটক করে রাখে। এসময় মহিলার সাথের অপহরণকারী চক্রের অপর সদস্যরা মারপিট করে এবং মুক্তিপণ আদায় করে।



এই বিভাগের আরও