পলাশে সেই সরকারি খাল দখলমুক্ত করবে উপজেলা প্রশাসন

০৮ জুলাই ২০২০, ০৫:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম


পলাশে সেই সরকারি খাল দখলমুক্ত করবে উপজেলা প্রশাসন

আল-আমিন মিয়া:
নরসিংদীর পলাশ উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা বাংলাদেশ সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের পাকা খালটি দখল ও ভরাটের কবলে পড়েছে। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের খেয়ালিপনায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এ খালটি। খালটির দু’পাশে গড়ে ওঠা বাসা-বাড়ির ময়লা-আর্বজনা প্রতিনিয়ত এ খালে ফেলা হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে খালের ওপর পাটাতন দিয়ে বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি নরসিংদী টাইমসসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এসেছে।


জানা যায়, এ খালটি ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শুরু করে পলাশ নতুন বাজার এলাকার পাশ দিয়ে গড়পাড়া, দড়িহাওলা পাড়া, আতশী পাড়া হয়ে ‘শালদা’র খালে গিয়ে মিলিত হয়েছে। কুঠির পাড়া, গোরায়ের পাড়া, রাবান, কুড়াইতুলিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান দিয়ে রয়েছে এ খালের বিস্তার। এই খালে রয়েছে অনেকগুলো স্লুইচ গেইট।


১৯৯২ সালে পলাশ উপজেলায় সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের সুবিধার্থে খালটি কেটে পাকা করার উদ্যোগ নেয় সরকার। আগে এর দু’পাশে কোনো বাড়ি-ঘর ছিল না। সেচ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী খালের দুইপাশে ছয় ফুট করে ১২ ফুট জায়গা ফাঁকা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে খালটির দুই পাশের মাটি ভরাট করে বাড়ি-ঘরসহ বহুতল ভবন গড়ে ওঠে। অবৈধ দখলে চলে যায় খালটির ১২ ফুট জমি। বর্তমানে বাথরুমের ময়লা পানি, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আর্বজনার স্তূপ জমে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে। খাল অর্ধেকের চেয়েও বেশি ভরাট হয়ে গেছে। খালটি এখন এডিস মশা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে।


এ নিয়ে সম্প্রতি নরসিংদী টাইমসসহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট গণমাধ্যমে পলাশে চলছে সরকারি খাল দখলের মহোৎসব শিরোনামে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিনের। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিনের নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (০৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সেচ ইরিগ্রেশন প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সরেজমিন গিয়ে খালটি পরিদর্শন করে পত্রিকার সংবাদের সত্যতা পাওয়ায় খালটি বেদখলকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি প্রদান করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম।


এসময় আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি খালটি অবৈধভাবে প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, ময়লা-আর্বজনা ফেলে খালটি এডিস মশা তৈরির কারখানা বানিয়ে ফেলেছে। অতি দ্রুত এই খালটির দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। সেজন্য খালের দু’পাশে দখলকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে সর্তক করা হয়েছে।



এই বিভাগের আরও