বাঁশগাড়ীতে অস্ত্রসহ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী গ্রেপ্তার

২২ নভেম্বর ২০২১, ০৫:০৫ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ এএম


বাঁশগাড়ীতে অস্ত্রসহ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলের বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় তিনজন নিহতের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির (৩২) ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।


এর আগে গত রোববার বিকালে ঢাকার আগারগাঁও এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, হামলাসহ মোট ৩১টি মামলা রয়েছে।


গ্রেপ্তারকৃত নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির রায়পুরার বালুয়াকান্দি এলাকার হাসান আলীর ছেলে ও ফয়সাল আহম্মেদ সুমন বটতলীকান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান সংবাদ সম্মেলনে জানান, রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই হামলা, পাল্টা হামলা, লুটপাট ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণের দিন যাতে প্রতিপক্ষের লোকজন ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান জাকির তার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এসময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হয়।

এই ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর সহিংসতার মূল হোতা রাতুল হাসান জাকিরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। ওই মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের নেতৃত্বে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকির ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওইদিন রাতে আটক দুইজনের দেয়া তথ্যমতে বাঁশগাড়ি এলাকার একটি বালুর মাঠের মাটির নীচ থেকে বস্তাভর্তি দুটি ওয়ান শ্যুটারগান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি বড় রাম দা উদ্ধার করা হয়।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, রাতুল হাসান জাকিরের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট, অস্ত্র ও হত্যাসহ ২২টি ও তার সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। 



এই বিভাগের আরও