রায়পুরায় চোর সন্দেহে গরুর ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৪

২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩২ পিএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪২ এএম


রায়পুরায় চোর সন্দেহে গরুর ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৪

রায়পুরা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরায় গরু চোর সন্দেহে মিজানুর রহমান (৩৫) নামে গরুর এক ক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আহত হয়েছের আরও ৪ জন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোরে পৌরসভার বৈকণ্ঠপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১ টায় লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার লাইমপাশা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মিজানুর এর পৈতৃক বাড়ি উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের আবদুল্লাহচরে। বর্তমানে তাদের পরিবারের সকলে কিশোরগঞ্জের ইটনায় লাইমপাশা থাকেন। শনিবার বিকেলে মিজান তার আত্মীয় উমর হাজীর ছেলে মনির হোসেনের বাড়িতে দুটি গরুর বাছুর কিনতে আসেন। সেখানে তার দুটি গরু পছন্দ হলে কিনে নেয়। রোববার হরতাল থাকায় তারা ভোরে পিকআপ যোগে দুটি গরু নিয়ে রওয়ানা দেন। ভোর ৪ টায় রায়পুরা পৌরসভার বৈকণ্ঠপুরে পৌঁছলে গরু চোর সন্দেহে তাদের আটক করেন এলাকাবাসী। পরে তাদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মিজানুর রহমানের মৃত্যু ঘটে। এসময় সঙ্গে থাকা দুইজন গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা এসে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নিহতের স্বজন মর্জিনা বেগম বলেন, মিজানুর রহমান গরু দুটি কিনে মেম্বারের মাধ্যমে স্ট্যাম্প করে নিয়েছেন। গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় পৌরসভা এলাকার শাহজাহান ও জিল্লু গং আটক করে বেঁধে রাখেন। আটকানোর পর তাদেরকে বিভিন্ন প্রমাণসহ স্ট্যাম্প দেখানো হয়। তারা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বললেও মানেনি। তারা রডসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের রক্ষা করতে গিয়ে ভাবী আলেয়া, ভাই আনোয়ারও আহত হয়েছেন। বিনাদোষে আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যার বিচার দাবি করছি।"

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আলম ও রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আলম বলেন, গরু চোর সন্দেহে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন ঘটনার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কী না তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



এই বিভাগের আরও