শিবপুর পাইলট মডেল হাইস্কুলের নির্বাচন: এক সপ্তাহ পরও সভাপতি নির্বাচিত করা যায়নি

০৭ নভেম্বর ২০১৯, ০১:১৫ এএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম


শিবপুর পাইলট মডেল হাইস্কুলের নির্বাচন: এক সপ্তাহ পরও সভাপতি নির্বাচিত করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর শিবপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা যায়নি। কমিটির সদস্যদের নিয়ে দুইবার সভা আহবান করেও দুই-তৃতীয়াংশের কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় শতবর্ষী এই বিদ্যালয়টিতে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যালয়টিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ অক্টোবর, বুধবার। ওই নির্বাচনে জয়ী হওয়া পাঁচ অভিভাবক সদস্যের মধ্যে ৪জন সভায় অংশ না নেওয়ায় কোরাম সংকট তৈরি হয়। এই চারজন হলেন, আবুল কালাম মৈশান, কামরুজ্জামান কামাল, মোখলেছুর রহমান মোল্লা ও মোছলেমা বেগম। নিয়ম অনুযায়ী, জয়ী পাঁচ অভিভাবক সদস্য, তিন শিক্ষক প্রতিনিধি ও একজন দাতা সদস্য মিলে মোট ৯ জনের ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রথম সভা ডেকে সভাপতি নির্বাচন করার কথা। বুধবার (৬ নভেম্বর) ছিল সভাপতি নির্বাচনের শেষ দিন।

এই ব্যাপারে সভায় উপস্থিত না হওয়া কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রতি ৫০০ টাকা কোচিং ফি নির্ধারণ ও শতবর্ষ উদযাপনের নামে টাকা তুলে অনুষ্ঠান না করার মত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পরিবর্তন আনতে নির্বাচনে আমরা পাঁচজনের একটি প্যানেল দিয়েছিলাম। আমাদের চারজন প্রার্থী বিজয়ী হলেও যে পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি তার কোন সম্ভাবনা দেখছি না তাই আমরা সভা বয়কট করেছি।

বিজয়ী চার অভিভাবক সদস্যের অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি বিদ্যালয়টির তিন শিক্ষক প্রতিনিধিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পক্ষে নিয়ে নিয়েছেন এবং কৌশল করে নিজেই দাতা সদস্য হয়েছেন। এসব কৌশল করে বর্তমান সভাপতি পুনরায় এ পদে বহাল থাকতে চান। বিদ্যালয়টির বর্তমান সভাপতি হলেন শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ খান।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ফোনে হারুনুর রশীদ খান বলেন, সাতদিনের মধ্যে দুইবার মিটিং ডেকে ওই চারজনকে পাওয়া না গেলেও আমরা পাঁচজন ছিলাম। বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে আমাকে সমর্থন দিয়েছেন উপস্থিত পাঁচজন। অন্যদিকে একটি চক্রের কাছ থেকে নির্বাচনকালীন খরচের টাকা ফেরত পেয়ে তাদের কথামত সভায় উপস্থিত হননি বাকী চারজন সদস্য।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এ পর্যন্ত দুইবার সভা আহবান করেও কাজ হয়নি। এখন কি হবে জানি না। তবে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমি পাঠিয়ে দেব। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেবেন।



এই বিভাগের আরও