নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র নেই নরেন্দ্র মোদির!
০১ মার্চ ২০২০, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের দিল্লিতে ভয়াবহ রকমের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আর আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। পুলিশের সামনেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ মুসলিমদের অসংখ্য বাড়িঘর ও দোকানপাটে বেছে বেছে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি দিয়ে মুসলমানদের প্রকাশ্যে পেটানো হয়েছে। সিএএ-এর জেরে ভারতে সবচেয়ে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার মুসলমানরা। তাদের প্রতিটা দিনই কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।
ঠিক এই সময় চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য ফাঁস হয়েছে। সেটি হলো- যেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এত কিছু, সেখানে কি না খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের কোনো কাগজপত্র নেই; জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়। তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) মোদির নাগরিকত্ব নিয়ে এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা আনন্দবাজার রোববার তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামে এক ব্যক্তি আরটিআই-এর মাধ্যমে জানতে চান প্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বের কাগজপত্র রয়েছে কি না। তারই উত্তরে পিএমও-র সচিব প্রবীণ কুমার জানান, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী জন্মসূত্রেই ভারতীয়।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এই তথ্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষত, আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির পরে বহু মানুষ নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে ‘ডিটেনশন’ শিবিরে ঠাঁই পেয়েছেন।
প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে নাগরিকত্বের নথি চাওয়া হলে আমজনতাও যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের দাবি তোলে, তা কি গ্রাহ্য হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এর আগে একাধিক বার জানিয়েছে, ২০১১ ও ২০১৫ সালের জাতীয় জনগণনা পঞ্জি প্রক্রিয়ার পরে দেয়া পরিচয়পত্র যাদের কাছে নেই তারা নাগরিক নন। দেশের মানুষের বড় অংশের কাছেই সেই পরিচয়পত্র নেই। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, তবে বিজেপি কাদের ভোটে জিতল? তার জবাব দেয়নি নরেন্দ্র মোদি সরকার।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে ভারতের আসামেই রয়েছে ছয়টি বন্দিশিবির। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ঘিরে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে অনেককে বন্দি রাখা হয় ওই সব শিবিরে। গণমাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, আসাম রাজ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় বন্দিশিবির নির্মাণের কাজ চলছে। আসামের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে গোয়ালপাড়ার মাতিয়ায় ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে এই ডিটেনশন ক্যাম্প বা বন্দিশিবির। ২৫ বিঘা জমির ওপর নির্মাণাধীন দেশটির সবচেয়ে বড় বন্দিশিবিরের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬ কোটি রুপি। বন্দিশিবিরের চারদিকে তোলা হয়েছে ২০ থেকে ২২ ফুট উঁচু দেয়াল।
আসাম সরকারের সূত্র উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যম জানায়, আরও ১০টি বন্দিশিবির তৈরি করা হবে আসামে। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আসামে ছয়টি বন্দিশিবির তৈরি হয়। তবে বন্দিশিবিরের বিষয়টি সবসময়ই অস্বীকার করে আসছে ভারত সরকার।
বিভাগ : বিশ্ব
- নরসিংদীর দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ
- পথচারিদের পাশে পানি ও স্যালাইন নিয়ে একদল যুবক
- পলাশে কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি-মনা, সম্পাদক-রনি
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা
- নরসিংদীর দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ
- পথচারিদের পাশে পানি ও স্যালাইন নিয়ে একদল যুবক
- পলাশে কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
- সাংবাদিকতার জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করতে চাই: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি-মনা, সম্পাদক-রনি
- শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত
- উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রভাব বিস্তার করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে: নরসিংদীতে ইসি মোঃ আলমগীর
- নিলক্ষায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ১০
- রায়পুরায় বজ্রপাতে একজন নিহত
- উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদী ও পলাশ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন যারা