করোনাভাইরাস: ভারতজুড়ে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে মহাশক্তিকে জাগানোর উদ্যোগ

০৫ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম


করোনাভাইরাস: ভারতজুড়ে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে মহাশক্তিকে জাগানোর উদ্যোগ
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে নানা দেশ নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ মুসিবত থেকে বাঁচতে নাকাল তথাকথিত শক্তিশালী অনেক দেশ। দিশেহারা মানুষ এখন আধ্যাত্মিকতা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাশক্তিকে জাগাতে সারা দেশে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে রাখার ডাক দিয়েছেন। রোববার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে সারা দেশে ৯ মিনিট একযোগে বাতি নিভিয়ে রাখবে ভারতবাসী।

কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার সকালে ভিডিও বার্তায় দেশবাসীর কাছে ওই আবেদন রাখেন। তার নির্দেশ, রোববার রাত ৯টা থেকে ৯ মিনিটের জন্য বাড়ির সব আলো নিভিয়ে দিয়ে বারান্দায় বা দরজায় দাঁড়িয়ে প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ বা মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালাতে হবে।

মোদির ডাকের পরই দেশজুড়ে মোমবাতি, প্রদীপ কেনার ধুম পড়ে যায়। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, কোথাও মোমবাতি পেতে বন্ধ দোকান খুলতে অনুরোধ, কোথাও আবার প্রদীপের খোঁজে লকডাউনের মধ্যেই কুমোরপাড়ার সন্ধান! অনেকে অবশ্য এই আহ্বানকে গুরুত্ব দেননি। তাদের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণে এমন কর্মসূচির চেয়ে বাস্তবোচিত কর্মসূচি এখন অনেক বেশি জরুরি।

বিজেপি বিরোধীদের দাবি, লকডাউনের জেরে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। বিপাকে পড়েছেন কাজের খোঁজে অন্য রাজ্যে গিয়ে আটকে পড়া শ্রমিকরাও। অর্থনীতির বেহাল দশা। এসব থেকে নজর ঘোরাতেই এমন নিদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টানা ৯ মিনিট একযোগে আলো বন্ধ রাখার জেরে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। কলকাতার গণমাধ্যম বলছে, আচমকা গোটা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলে যেমন গ্রিডলাইনে বিপর্যয় নামতে পারে, তেমনি আবার ৯ মিনিট পরে বেড়ে গেলেও একই আশঙ্কা থাকে।

এর আগে ২০১২ সালের জুলাই মাসে এমনই ‘ক্যাসকেড ট্রিপিং’য়ের সাক্ষী হয়েছিল ভারত, যার ফলে দেশজুড়ে ব্ল্যাকআউট ঘটেছিল। সেবার নর্দার্ন গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় বাকি গ্রিডগুলোর ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তাদের প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্রপাতিগেুলো (আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সি রিলে) হয়ে গিয়েছিল বিকল। তাতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়।

করোনা ঠেকাতে ২১ দিনের লকডাউনে থাকা ভারতে আজ রবিবার পর্যান্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৭৪। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭২ জন। এখন পর্যগন্ত মোট মৃত্যু ৭৭। সুস্থ হয়েছেন ২৬৭ জন।


বিভাগ : বিশ্ব