টানা বর্ষণে নেপালে বন্যা: ভূমি ধসে নিহত বেড়ে ৬৫

১৫ জুলাই ২০১৯, ০১:০৯ পিএম | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম


টানা বর্ষণে নেপালে বন্যা: ভূমি ধসে নিহত বেড়ে ৬৫

বিদেশ ডেস্ক:

গত তিন দিনের টানা বর্ষণে নেপালে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৩৮ জন। দেশটিতে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল।

এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

সোমবার নেপাল পুলিশের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, হতাহতের পাশাপাশি নেপালে নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় সংস্থাগুলোকে সহায়তা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর, বৃস্পতিবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে নেপালি পুলিশ। 

নেপালের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে আরো ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নেপালের কোসি নদীর পানির স্তর বিদপসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে আক্রান্ত হবে ভারতের বিহারও। নদীটি নেপাল হয়ে ওই অঞ্চল দিয়ে ঢুকেছে। ২০০৮ সালে নদীটির গতিপথ ভেঙে পরিবর্তিত হয়। ডুবে যায় বিহারের বিস্তৃত এলাকা। সেসময় ৫০০’র বেশি মানুষ মারা যায়।

এদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে আসামে মারা গেছেন ৬ জন ও অরুণাচল প্রদেশে মারা গেছেন ৫ জন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বর্ষাকালের প্যাটার্নে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই অঞ্চলে আবহাওয়া আরো বৈরিভাব ধারণ করবে। আসন্ন মাসগুলোতে তীব্র খরা ও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।



এদিকে, ভারত, চীন ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ইতোমধ্যে পানির গ্রাসে ভারতের আসামে তলিয়ে গেছে ১ হাজার ৮০০’র বেশি গ্রাম। আসামের পানি স¤পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখানকার অবস্থা খুবই গুরুতর। 

উল্লেখ্য, ভারত ও নেপালে সাধারণত জুন মাস থেকে বর্ষাকালীন বৃষ্টির শুরু হয় ও তা চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টুকু উভয়দেশের জন্য বেশ সংকটপূর্ণ। প্রায় প্রতি বছরই এই মৌসুমে অঞ্চলটিতে মারা যায় অসংখ্য মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিপুল পরিমাণ জমি। গত বছর আসাম ও কেরালায় বন্যা, ভ’মিধস ও বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০’র বেশি মানুষ। 


বিভাগ : বিশ্ব