বিদেশী বাহিনীকে উপসাগর থেকে দূরে থাকার হুশিয়ারি ইরানের

২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১১:৫৭ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৫ এএম


বিদেশী বাহিনীকে উপসাগর থেকে দূরে থাকার হুশিয়ারি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর বিদেশি শক্তিগুলো উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। ১৯৮০- ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ইরান-ইরাক যুদ্ধের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে উপসাগর থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।


তিনি বলেন, বিদেশি সেনারা সবসময়েই ‘যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ’ বয়ে এনেছে। উপসাগরীয় অঞ্চলকে তাদের ‘অস্ত্র প্রতিযোগিতায়’ ব্যবহৃত হতে দেওয়া উচিত হবে না।


গত সপ্তাহে সৌদি আরবের দুটি তেল শোধনাগারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। ওয়াশিংটন ও রিয়াদ ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করলেও তেহরান শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে। ওদিকে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের আরো সেনা মোতায়েনের খবর প্রকাশের পর ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, যেই হামলা চালাবে পিছু নিয়ে তাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।


তবে প্রেসিডেন্ট রুহানি পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে নয় বরং শান্তির আমন্ত্রণ জানিয়ে উত্তেজনা প্রশমন করতে চাইছেন। রুহানি জানান, ইরান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এ বছরের অধিবেশনেই উপসাগরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি নতুন উদ্যোগের প্রস্তাব দেবে।


টেলিভিশনে এক ভাষণে রুহানি বলেন, বিদেশি শক্তিগুলো আমাদের এ অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতা ও সমস্যার কারণ হতে পারে। অতীতে বিদেশি সেনা মোতায়েনের ঘটনা উপসাগরে ‘বিপর্যয়’ ডেকে এনেছিল। তাই আমি তাদেরকে দূরে থাকতে বলেছি। তারা যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের উচিত হবে না আমাদের অঞ্চলকে অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র বানানো। আমাদের দেশগুলো ও এ অঞ্চল থেকে আপনারা (বিদেশি শক্তি) যত দূরে থাকবেন, এখানে তত বেশি নিরাপত্তা বজায় থাকবে, বলেছেন তিনি। তেহরান প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করতে চায় বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছেন রুহানি।


এর আগে ইয়েমেনের ইরান ঘনিষ্ঠ হুতিরাও সৌদি আরব এবং এর মিত্রদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। বলেছিল, রিয়াদ ও তার সহযোগীরা যদি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা না চালায়, তাহলে তারাও আর এ ধরনের হামলা চালাবে না।
ইয়েমেনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠীই গত সপ্তাহে সৌদি আরবের তেল শিল্পক্ষেত্রে ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল।


বিভাগ : বিশ্ব