ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৪, আহত ৮৬৫

২৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ এএম


ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৪, আহত ৮৬৫

টাইমস নিউজ ডেস্ক:

শিয়াদের পবিত্র শহর কারবালায় ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৪ জন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারী নিহত ও ৮৬৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাতে কারবালার এ ঘটনার পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ায় আহত আরও তিন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে মেডিকেল ও নিরাপত্তা সূত্রগুলো মঙ্গলবার জানিয়েছে। গত ১ অক্টোবর সরকারবিরোধী প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে নিহতের সংখ্যা এখন অন্ততপক্ষে ২৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদির সরকার ও রাজনৈতিক অভিজাতদের বিরুদ্ধে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হওয়া প্রতিবাদে সোমবার ইরাকিরা টানা চতুর্থ দিনের মতো রাস্তায় নেমে আসে। ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জনবিচ্ছিন্নতার অভিযোগ এনেছেন প্রতিবাদকারীরা।

২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা বিদেশি দখলদারিত্ব, গৃহযুদ্ধ ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে যাওয়া ইরাক তুলনামূলকভাবে গত দুই বছর ধরে কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু ক্ষমতাসীন ও রাজনৈতিক অভিজাতদের সীমাহীন দুর্নীতিতে সৃষ্ট অসন্তোষে দেশটিতে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মাহদির হুঁশিয়ারি সত্বেও এ দিন হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসে। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। বাগদাদের দুটি এলাকায় সৈন্যদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের লাঠি পেটা করতে দেখা যায়। ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা করে ওই সৈন্যরা কোনোভাবেই ইরাকি সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে না বলে মন্তব্য করেছে। তবে ওই ঘটনায় জড়িত সৈন্যদের শাস্তি হবে কি না, বিবৃতিতে তা জানানো হয়নি। এসব ঘটনার পর বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয়।

ইরাকি পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় জোটের সমর্থক জনপ্রিয় শিয়া ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল সদর সোমবার আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহদির নড়বড়ে জোট সরকারকে ক্ষমতায় আনতে তিনিই সাহায্য করেছিলেন।


বিভাগ : বিশ্ব


এই বিভাগের আরও