বেলাব উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত

০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:১৪ পিএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫০ এএম


বেলাব উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের অর্থ আত্মসাতের তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীর বেলাবতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমসের জামান ভূঁইয়া রিটনের বিরুদ্ধে দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মানী, আপ্যায়ন ও ভ্রমণ ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর সার্কিট হাউজে এসব অভিযোগের তদন্ত করেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খান মো. নুরুল আমিন।


এর আগে চলতি বছরের মার্চে এসব ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়। যৌথভাবে অভিযোগ করেন বেলাব উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন আক্তার খালেদা। এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আজ নির্ধারিত দিনে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তসহ দুই পক্ষের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।


দুই ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান ও শারমিন আক্তার খালেদা জানান, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের সম্মানী ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা ও ভ্রমণ ভাতা হিসেবে আমাদের দুজনের প্রাপ্য ৭০ হাজার টাকার চেক আমাদের অবগত না করেই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান সমসের জামান ভূঁইয়া রিটন নিজে স্বাক্ষর করে ওই টাকার চেক উত্তোলন করেন এবং তা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তী সময়ে ওই টাকা আমরা ফেরত চাইলেও তা আমাদের ফেরত দেননি তিনি। এই ঘটনায় আমরা যৌথভাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। এরই প্রেক্ষিতে আজ সার্কিট হাউজে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে অভিযোগের তদন্ত করেছেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খান মো. নুরুল আমিন। আশা করছি, আমরা সুবিচার পাব।

অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সমসের জামান ভূঁইয়া জানান, আমি উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মতি নিয়েই তাদের চেকের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করি। সম্মানী ভাতার ওই টাকা তাদের সম্মতিতেই সামাজিক কমর্কান্ডের অংশ হিসেবে স্থানীয় একটি মাজারের ওরশে ব্যয় করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমি তা ফেরত দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা তা নেননি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করার জন্য তারা এসব অভিযোগ করেছেন।


তদন্ত শেষে ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খান মো. নুরুল আমিন এই বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দেননি।



এই বিভাগের আরও