নরসিংদীতে স্ত্রী ও ১৩ মাসের সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২২ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ০১:৫৭ এএম


নরসিংদীতে স্ত্রী ও ১৩ মাসের সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীতে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রী ও ১৩ মাস বয়সী ছেলে সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চিনিশপুর ইউনিয়নের ঘোড়াদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে ভোর ৫টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশ।

নিহত দুজন হলেন, ঘোড়াদিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার ফকরুল ইসলামের স্ত্রী রেশমি আক্তার (২৬) ও ১৩ মাস বয়সী ছেলে সন্তান সালমান সাফায়ার। ফকরুল ইসলাম (৩০) এখন পুলিশের হেফাজতে আটক রয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে নরসিংদী শহরের দত্তপাড়ার রেশমি আক্তারের সঙ্গে চিনিশপুরের ঘোড়াদিয়ার ফকরুল ইসলামের বিয়ে হয়। ফকরুল মাদকাসক্ত হওয়ায় ও তাঁর চাকরি না থাকা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো।

পুলিশ ও নিহতদের স্বজনরা জানান, স্বামীর মাদকাসক্তি নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেও অনেকবার রেশমির বাকবিতণ্ডা হয়েছে। পরে মাদকাসক্ত ফকরুলকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য একটি রিহ্যাবে দেওয়া হয়। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছায় ওই রিহ্যাব থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারেননি তিনি। রোববার দিবাগত  দেড়টার দিকে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্ত্রী ও ১৩ মাস বয়সী সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেন ফকরুল। পরে ফকরুলকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, রাতে তাদের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি ও কান্নার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। এরই মধ্যে উত্তেজিত অবস্থায় স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে ফকরুল। সে প্রায়ই নেশা করত, কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে ধারণা ছিল না। ঘটনার পরপরই আশপাশের লোকজন তাকে আটকে রেখে নরসিংদী মডেল থানার পুলিশকে খবর জানান। পরে ভোরের দিকে পুলিশ এসে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান এবং ঘাতক ফকরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত রেশমির বাবা পারভেজ মিয়া জানান, মেয়ের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক ভালো ছিল না জানতাম। কিন্তু পরিস্থিতি এত খারাপ ছিল জানতাম না। এসব নিয়ে আমাদের কাছে কখনও কিছু বলতেও চাইতো না সে। আমার মেয়ে ও নাতিকে গলা কেটে হত্যার জন্য তাঁর স্বামী ফকরুলের বিচার চাই আমি।

জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান জানান, স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ফকরুল ইসলাম নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



এই বিভাগের আরও