‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক সভা

০৯ জুন ২০২৩, ০৩:০০ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০০ এএম


 ‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পলিথিন শপিং ব্যাগ বর্জন করি, দেশকে পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে রক্ষা করি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নরসিংদীতে ‘হাঁড়িধোয়া’ নদী দখল ও দূষণমুক্ত করণের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) বিকেলে সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে নরসিংদী বড় বাজারের বেড়িবাঁধ এলাকায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা সুলতানা নাসরীন এর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, নরসিংদী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান কাউছার, নরসিংদী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায়, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু, চিনিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তুহিন, নরসিংদী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি বাবুল সরকার ও জাকির হোসেন মাস্টার প্রমুখ।


এসময় ইউএনও আসমা সুলতানা নাসরীন বলেন, নরসিংদী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত এই নদী আপনাদের মায়ের সমান। আপনারা এ নদীকে রক্ষা করুন। এ নদী রক্ষার মাধ্যমে নিজেকে এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করুন। আপনরা সহযোগিতা করলে হাঁড়িধোয়া নদী দূষণমুক্ত হবে। পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। কারণ নদীর পানিতে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত হওয়ায় এ নদীর প্রবাহিত পানি বিভিন্ন এলাকার জমির ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রায় দুইশত হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে নূরালাপুর এলাকায়। তাহলে আপনারাই আপনাদের ফসল নষ্ট করছেন। আসুন আমরা হাঁড়িধোয়া নদীকে দূষণ মুক্ত করে নিজেদের রক্ষা করি।

সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফতাব উদ্দিন ভূঞা বলেন, নদী দখল রোধ করতে হবে। নরসিংদী শহরকে রক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য “ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট” সভা হয়েছে। আশাকরি, নরসিংদী শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, হাঁড়িধোয়া নদী তীরে ৯টি ডাইং ফ্যাক্টরী রয়েছে। তারা যেন রাতের আঁধারে অপরিশোধিত রাসায়নিক পদার্থ নদীর পানিতে ফেলতে না পারে সেজন্য আইপি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা পেয়েছি। এই ক্যামেরা সংস্থাপনের ফলে দিনেরাতে সবসময় ঘরে বসেই আমরা দেখতে পারবো ফ্যাক্টরীর রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে ফেলছে কি না।