নরসিংদীতে গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি

০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ এএম


নরসিংদীতে গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবি

টাইমস ডেস্ক:

নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তি দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সামাদ। শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে তাঁর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দিন, তাবভীর হোসেন, নাঈম হোসেন, আবু সুফিয়ান ও আব্দুল্লাহ সরকার এবং ফাযিল (সম্মান সমমান) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে দাবি করা হয়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষার্থীদের জন্য স্মরণিকা তৈরি  করতে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রাহ্মন্দী মোড় এলাকার ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস থেকে স্মরণিকার আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে মাদ্রাসায় ফেরার পথে গত ৩০ অক্টোবর বিকালে মাদ্রাসার ৬ শিক্ষার্থীকে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।

এছাড়া গত ১৫ অক্টোবর আবরি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদকে মাদ্রাসার পাশের এলাকার তার নিজ বাড়ীর গেইট ভেঙ্গে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নরসিংদীর মাধবদী থানায় করা মিথ্যা নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় যে, এসব ঘটনায় তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করায় জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও নিন্দা জানাচ্ছে। তাদের অনতিবিলম্বে মুক্তি ও সকল প্রকার হয়রানিমূলক ও কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভুঁইয়া বলেন, "আমরা সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার আসামী গ্রেপ্তার করেছি। কে ছাত্র, কে শিক্ষক সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। অপরাধী সেটা যে কেউ হউক। ওই মাদ্রাসাটি বিশেষ নাশকতামূলক কর্মকান্ডের আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক হলেই যে তারা পার পেয়ে যাবেন এমনটি ভাবার সুযোগ নেই।

 



এই বিভাগের আরও